আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): রবিবার (৩১ আগস্ট) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আইআরজিসি জানায়, এ হামলায় ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রী আহমাদ আল-রাহাভি এবং মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য ও কর্মকর্তার প্রাণহানি হয়েছে।
এটিকে মানবতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ অপরাধ এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের নগ্ন উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
আইআরজিসি আরও জানায়, এই ঘৃণ্য হামলা জায়নিস্ট শাসনের নির্মমতা ও অমানবিক চরিত্রের প্রতিফলন। গাজায় চলমান গণহত্যার মতোই এই ঘটনায়ও যারা নীরব থেকেছে কিংবা সমর্থন দিয়েছে— বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র— তাদেরকেও সমানভাবে দায় বহন করতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের “অমানবিক ও সম্প্রসারণবাদী” চরিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন এবং আন্তর্জাতিক নীরবতার কারণে এই দখলদার শাসন অঞ্চল ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আইআরজিসি আরও সতর্ক করে জানায়, ইসলামি প্রতিরোধশক্তি, বিশেষ করে অবিচল ইয়েমেনি জনগণ, ঈমান, দৃঢ় সংকল্প এবং বিশ্বজুড়ে স্বাধীন জাতিগুলোর সমর্থন নিয়ে জায়নিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তমূলক প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
এছাড়া ইসলামি সরকারসমূহ, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তা পরিহার করে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানায় আইআরজিসি। তারা ইয়েমেন ও গাজার নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে ইসরায়েলের চলমান অপরাধ বন্ধের পরিবেশ তৈরি করতে জোর দাবি জানায়।
এদিকে শনিবার আনসারুল্লাহ আন্দোলন এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রধানমন্ত্রী আল-রাহাভি ও সরকারের আরও কয়েকজন সদস্য একটি কর্মশালায় অংশ নেওয়ার সময় সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন।
ইয়েমেনের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাহদি আল-মাশাত এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “আমরা প্রতিশোধ নেব, আর এই ক্ষত-বিক্ষত হৃদয় থেকেই আমরা বিজয়ের পথ গড়ে তুলব।”
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইয়েমেনি আনসারুল্লাহ যোদ্ধারা গাজায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে অধিকৃত ভূখণ্ড এবং লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে পশ্চিমা জাহাজের ওপর হামলা চালানোর পর ইসরায়েল বারবার তাদের অবস্থানকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।
Your Comment