আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): বর্তমানে ক্ষমতাচ্যুত,তৎকালীন সিরিয়ার নেতা বাশার আল-আসাদের সরকার বলেছিল,দেইর আল-জোর অবস্থিত ভবনটি ছিল একটি প্রচলিত সামরিক ঘাঁটি।
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা –আইএইএ ‘২০১১ সালে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল যে ভবনটি ‘অত্যন্ত সম্ভাব্যভাবে’ একটি গোপনে নির্মিত পারমাণবিক চুল্লি ছিল। দামাস্কাসের উচিত ছিল আইএইএ’র কাছে বিষয়টি ঘোষণা করা। কিন্তু তারা তা করেনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরপর থেকে সংস্থাটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর চেষ্টা করে আসছে। গত বছর থেকে নতুনভাবে উদ্যোগ নিয়ে তারা তিনটি অজ্ঞাত স্থানে পরিবেশগত নমুনা সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিল।
সংস্থাটি বলেছে,তিনটি স্থানের একটির নমুনায় বিপুল সংখ্যক প্রাকৃতিক ইউরেনিয়াম কণার সন্ধান পাওয়া গেছে। এই কণাগুলোর বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে ইউরেনিয়ামটি মানবসৃষ্ট উৎসের। অর্থাৎ এটি রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপাদিত।
প্রতিবেদনে পাওয়া চিহ্নগুলোর অর্থ কী হতে পারে সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয়নি।
বর্তমান সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তারা এমন কোনও তথ্য জানে না যা এই ধরনের ইউরেনিয়াম কণার উপস্থিতি ব্যাখ্যা করতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সিরিয়ার বর্তমান সরকার চলতি বছরের জুন মাসে আইএইএ’কে সংশ্লিষ্ট স্থানে আবারও প্রবেশাধিকার দিয়েছিল যাতে আরও পরিবেশগত নমুনা নেওয়া যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই মাসেই আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসি এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার মধ্যে এক বৈঠকে ‘সিরিয়া সম্মত হয়েছে যে তারা সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার মাধ্যমে সংস্থার সাথে সহযোগিতা করবে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএইএ এখনও দেইর আল-জোর সফরের পরিকল্পনা করছে। তারা অন্যান্য স্থানে নেওয়া পরিবেশগত নমুনার ফলাফল মূল্যায়ন করবে।
কারণ একবার এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে এবং ফলাফল মূল্যায়ন করা হলে, সিরিয়ার অতীত পারমাণবিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত মুলতুবি থাকা সুরক্ষামূলক বিষয়গুলো ব্যাখ্যা ও সমাধানের সুযোগ তৈরি হবে এবং বিষয়টির নিষ্পত্তি ঘটবে।
Your Comment