আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনার ঘোষণায় অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের সাথে এবার যোগ দিয়েছে পর্তুগালও।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের মর্যাদা সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনের একদিন আগে রোববার এই স্বীকৃতি দেয়া হবে।
মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করছে যে পর্তুগাল ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। আগামী সপ্তাহের উচ্চস্তরের সম্মেলনের আগে, রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) স্বীকৃতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে।’
পর্তুগালের সংবাদমাধ্যম কোরেইও দা মানহা’র মতে, দেশটির মধ্য-ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনিগ্রো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার আগে প্রেসিডেন্টে ও সংসদের সাথে আলোচনা করেছেন।
সংবাদমাধ্যমটি আরো জানায়, এর মধ্য দিয়ে পশ্চিম ইউরোপীয় দেশটির সংসদে প্রায় ১৫ বছরের বিতর্কের সমাপ্তি ঘটাল। ২০১১ সালে দেশটির রাজনৈতিক দল ‘লেফট ব্লক’ প্রথম এই প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল।
পর্তুগালের ঘোষণাটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন কয়েকদিন আগেই জাতিসঙ্ঘের এক তদন্তে বলা হয়েছে যে গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ গণহত্যার শামিল।
পর্তুগিজ সরকার জুলাই মাসে প্রথম ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। ওই সময় দেশটি সংঘাতের উদ্বেগজনক অগ্রগতি, মানবিক বিপর্যয় ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখলে ইসরাইলের বারবার হুমকির কথা উল্লেখ করে।
এদিকে শুক্রবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর একজন উপদেষ্টা জানান, সোমবার নিউইয়র্কে সৌদি আরবের সাথে যৌথভাবে আয়োজিত উচ্চস্তরের বৈঠকে ফ্রান্সের পাশাপাশি অ্যান্ডোরা, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা ও সান মারিনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনা করছে।
কানাডা ও যুক্তরাজ্যও একই পদক্ষেপ নেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তারা জাতিসঙ্ঘের ৭৫ শতাংশ সদস্যের প্রতিনিধিত্বকারী প্রায় ১৪৭টি দেশের সাথে যোগ দেবে, যারা এই বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
Your Comment