১০ অক্টোবর ২০২৫ - ১৩:৩২
‘অপরাধ বন্ধ করাই শেষ কথা নয় অবশ্যই  অপরাধীর বিচারও করতে হবে’।

ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি তেহরানের সমর্থন "কেবল রাজনৈতিক অবস্থান নয় বরং "জাতিগুলোর নিজস্ব ভাগ্য নির্ধারণের অধিকার" এবং নিপীড়ন ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতি গভীর বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত।"

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): শুক্রবার (১০ অক্টোবর) লেবাননের আল-মায়াদিন টেলিভিশনে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে মোহাজেরানি জোর দিয়ে বলেন, গাজায় গণহত্যা বন্ধ, ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর প্রত্যাহার, মানবিক সহায়তা প্রবেশ, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং ফিলিস্তিনিদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে সহায়ক—এমন যেকোনো পদক্ষেপ বা উদ্যোগকেই ইরান সমর্থন জানাবে।




ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সরকারের মুখপাত্র "ফাতেমা মোহাজেরানী" গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে সমর্থন করার সময় জোর দিয়ে বলেছেন যে গাজায় ইসরায়েলি শাসক গোষ্ঠীর অপরাধ বন্ধ করা পথের শেষ নয় এবং এই অপরাধের অপরাধী এবং কমান্ডারদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করা উচিত।


তিনি এ সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের আইনগত ও মানবিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। 


"ফাতেমেহ মোহাজেরানী" গাজায় গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ করার দিকে পরিচালিত করে এমন যেকোনো উদ্যোগ এবং পদক্ষেপের প্রতি ইরানের পূর্ণ সমর্থনের উপর জোর দিয়ে আরও বলেছেন, "ইরান দখলদার বাহিনী প্রত্যাহার, মানবিক সহায়তা প্রবেশ, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি এবং তাদের মৌলিক অধিকার আদায়ের পরিকল্পনাকে সমর্থন করবে।"


ইরানের এই মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, ন্যায়বিচারের প্রয়াস যুদ্ধবিরতির মধ্যেই শেষ হওয়া উচিত নয়। তার ভাষায়, ‘যারা যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের নির্দেশ দিয়েছে এবং তা বাস্তবায়ন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রকৃত জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে’। 

মোহাজেরানি বলেন, গাজায় সংঘটিত নৃশংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভবিষ্যৎ অপরাধ ঠেকাতে ন্যায়বিচারের এই অনুসন্ধান অপরিহার্য।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির ঘোষণা দেয়, যা ইতোমধ্যেই কার্যকরের পর্যায়ে রয়েছে। সূত্র: মেহের নিউজ

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha