আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): রবিবার সন্ধ্যায় মিশর ইরানকে লোহিত সাগরের অবকাশ নগরী শারম আল-শেখে সোমবারের এই সম্মেলনে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানায় বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ।
সোমবার ভোরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি ইঙ্গিতপূর্ণভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ করে লিখেছেন,
“প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান কিংবা আমি—কেউই এমন বৈঠকে বসতে পারি না যেখানে উপস্থিত থাকবে সেই শক্তিগুলো, যারা ইরানি জনগণের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে এবং এখনও আমাদের বিরুদ্ধে হুমকি ও নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখেছে।”
গত জুনে ১২ দিনের যুদ্ধ চলাকালীন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ সহায়তার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
আরাকচি বলেন, “ইরান গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধে এবং ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের পক্ষে যে কোনো আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।”
১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকে ইরান ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিকে তাদের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম ভিত্তি হিসেবে ধরে রেখেছে।
আসন্ন গাজা শান্তি শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি যৌথভাবে সভাপতিত্ব করবেন। সম্মেলনের লক্ষ্য গাজায় যুদ্ধবিরতি সুসংহত করা এবং যুদ্ধ-পরবর্তী রাজনৈতিক কাঠামো নির্ধারণ করা।
বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশের নেতা এতে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও, ইসরায়েল ও হামাস—দু’পক্ষের কেউই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবে না।
Your Comment