আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, নিহতদের পরিচয় শনাক্তে কাজ চলছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর আগে সোমবার হামাস ২০ জীবিত ও ৪ মৃত জিম্মাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল।
অন্যদিকে, রেড ক্রসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ইসরায়েলও ৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহতের দেহ ফেরত দিয়েছে, যাদের মরদেহ এতদিন ইসরায়েলে ছিল।
জীবিতদের ফেরত দেওয়া হলেও নিহতদের দেহ ফেরতে বিলম্ব হওয়ায় দুই পক্ষের ওপরই চাপ বাড়ছে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, হামাস যদি সব ২৮ জিম্মির মরদেহ ফেরত না দেয়, তবে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হবে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছে, হামাসের কোনো বিলম্ব বা ইচ্ছাকৃত টালবাহানা ‘চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন’ হিসেবে গণ্য হবে এবং এর প্রতিক্রিয়া ‘কঠোর’ হবে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, হামাস চুক্তি ভঙ্গ করায় রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়া ও মানবিক সহায়তা পাঠানো বিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে হামাসের দাবি, গাজার ভেতরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও বিশৃঙ্খলার কারণে নিহত জিম্মিদের সব দেহ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সোমবার প্রথম যে চার জিম্মির মৃতদেহ ফেরত দেওয়া হয়, তাদের পরিচয় ইসরায়েল জানিয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে ড্যানিয়েল পেরেটজ (২২), ইয়োসি শরাবি (৫৩), গাই ইলুজ (২৬) এবং নেপালের নাগরিক বিপিন যোশি (২৩)।
আইডিএফ জানিয়েছে, সর্বশেষ যে চারজনের দেহ পাওয়া গেছে, তাদের পরিচয় শনাক্তে সময় লাগবে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত চুক্তির অনুলিপিতেও উল্লেখ ছিল যে, সব দেহ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উদ্ধার সম্ভব নাও হতে পারে।