১৯ অক্টোবর ২০২৫ - ০২:৫৪
জনসমক্ষে হিজাব নিষিদ্ধে পর্তুগালের সংসদ বিল পাস করেছে।

‘ পাবলিক প্লেসে বোরকা বা নিকাব পরিধান নিষিদ্ধ করল পর্তুগাল/পার্লামেন্ট এটি এখন আইনে পরিণত হয়েছে এবং আইন অমান্য করলে জেল-জরিমানাও করা হবে বলে জানা গেছে।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা):  বলা হয়েছে, উন্মুক্ত স্থান বা জনসমক্ষে নিকাব পরলে ২০০ থেকে ৪ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।




আর কাউকে জোর করে নিকাব পরতে বাধ্য করলে সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। তবে ব্যতিক্রম হিসেবে উড়োজাহাজ, কূটনৈতিক এলাকা এবং উপাসনালয়ে নিকাব পরার অনুমতি থাকবে।


তবে বিলটি এখনই আইন হিসেবে কার্যকর হচ্ছে না। এটি প্রথমে পাঠানো হবে সংসদের সাংবিধানিক বিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে, যেখানে বিলটি পর্যালোচনা করা হবে। এরপর পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সুজা বিলটিতে স্বাক্ষর করবেন কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। চাইলে তিনি এটি পুনর্বিবেচনার জন্য সাংবিধানিক আদালতে পাঠাতে পারেন।

2826442.jpg

এটি আইনে পরিণত হলে ইউরোপে নিকাববিরোধী আইনের তালিকায় যোগ দিবে পর্তুগালও। ইতোমধ্যে ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডস জনসমক্ষে বোরকা বা নিকাব পরা আংশিক বা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে।

বিল উত্থাপনকারী চেগা পার্টির নেতা আন্দ্রে ভেনচুরা দাবি করেছেন, এটি নারীর স্বাধীনতা ও ইউরোপীয় মূল্যবোধ রক্ষার একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। তার ভাষায়, ‘আজ আমরা আমাদের মেয়েদের বোরকা থেকে রক্ষা করেছি।’ অন্যদিকে বামপন্থি নারী আইনপ্রণেতারা বিলটির তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, এটি ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ এবং মুসলিম নারীদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক।


পার্লামেন্টে নিকাব নিষিদ্ধের বিলটি পাস হলেও ১০টি দলের মধ্যে ২টি দল পিপল-অ্যানিমেলস-নেচার পার্টি এবং টুগেদার ফর দ্য পিপল পার্টি ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে। তাদের মতে, এই বিল বৈষম্য উসকে দেবে এবং সমাজে বিভাজন বাড়াবে।


বিলটি নিয়ে মানবাধিকার সংগঠন ও মুসলিম কমিউনিটিগুলোর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তারা বলছে, পর্তুগাল দীর্ঘদিন যাবৎ ধর্মীয় সহনশীলতার দেশ হিসেবে পরিচিত হলেও এই সিদ্ধান্ত দেশটির সেই ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha