আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): গাজা সিটির জায়তুন এলাকায় আবু শাহবান পরিবারের বেসামরিক একটি গাড়িতে ইসরায়েলি বাহিনীর ট্যাংকের গোলা আঘাত হানে। পরিবারটি ওই সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির অবস্থা দেখতে যাচ্ছিল।
গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, “নিহতদের মধ্যে সাত শিশু ও তিন নারী রয়েছেন। তাদের আগেই সতর্ক করা যেত বা অন্য কোনো উপায় নেওয়া যেত। কিন্তু দখলদার বাহিনীর এই আচরণ প্রমাণ করে, তারা এখনো রক্তপিপাসু এবং নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।”
তিনি জানান, জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক কার্যালয় (OCHA)-এর সহায়তায় এ পর্যন্ত ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে দুটি শিশুর মরদেহ এখনো নিখোঁজ, কারণ প্রচণ্ড বিস্ফোরণে তাদের দেহাবশেষ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।
ঘটনার পর হামাস একে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে জানায়, কোনো সামরিক প্রয়োজন ছাড়াই ইসরায়েল এই পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে। একইসঙ্গে তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে বাধ্য করা হয়।
এদিকে গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, বন্দি বিনিময় চুক্তি চলমান থাকা অবস্থাতেও শনিবার পর্যন্ত ইসরায়েল অন্তত ৩৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। একই সঙ্গে খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য জরুরি সহায়তা প্রবাহ কঠোরভাবে সীমিত রাখা হয়েছে।
জাতিসংঘ সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। দুর্ভিক্ষকবলিত এলাকায় ত্রাণ কনভয়গুলো পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছে। বর্তমানে গাজার প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ দৈনিক ছয় লিটারেরও কম পরিমাণ নিরাপদ পানি পাচ্ছেন, যা আন্তর্জাতিক জরুরি চাহিদার চেয়ে অনেক কম।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির পর থেকে তারা গড়ে দৈনিক ৫৬০ টন খাদ্য গাজায় পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু এটি মারাত্মক অপুষ্টি ও দুর্ভিক্ষ ঠেকানোর জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণের তুলনায় যথেষ্ট নয়।
Your Comment