আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): গাজার মধ্যাঞ্চলের নুসেইরাত এলাকায় ইসলামিক জিহাদ সংগঠনের একজন সদস্যকে লক্ষ্য করে ‘সুনির্দিষ্ট ও সীমিত আকারের’ হামলা চালানো হয়, যিনি ইসরায়েলি সেনাদের ওপর আসন্ন সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে।
৯ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, মিশরে আলোচনার মাধ্যমে হামাস ও ইসরায়েল প্রথম ধাপে সমঝোতায় পৌঁছেছে এবং ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
তবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার অল্প সময় পরই নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ফের বাড়তে শুরু করে।
১৯ অক্টোবর রাফাহ সীমান্তের কাছে ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার ঘটনা সামনে আসে, যা যুদ্ধবিরতির প্রথম বড় লঙ্ঘন বলে দাবি করে আইডিএফ। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ ঘটনার জন্য সরাসরি হামাসকে দায়ী করেন এবং সেনাবাহিনীকে 'দ্রুত ও দৃশ্যমান প্রতিক্রিয়া' জানাতে নির্দেশ দেন।
ওই ঘটনার পর ইসরায়েলি বাহিনী গাজাজুড়ে বহু লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা হামলা চালায়, যেখানে আইডিএফ জানায় দুই সেনা নিহত এবং আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে হামাস রাফাহর ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে, জানিয়ে যে এটি ইসরায়েলের 'অজুহাত তৈরি' মাত্র।
পরে আইডিএফ ঘোষণা করে, সীমিত সামরিক অভিযান শেষ করে তারা পুনরায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে ফিরেছে। কিন্তু সর্বশেষ নুসেইরাত হামলার পর আবারও প্রশ্ন উঠেছে—চুক্তির বাস্তব প্রয়োগ আদৌ সফল হচ্ছে কি না এবং শান্তি প্রক্রিয়া টিকবে কতদিন।
Your Comment