আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট তার শহরে দাওয়াত দিয়েছে দুই পরাশক্তির শীর্ষ নেতাদের। তা সবার কাছে অভূতপূর্ব ঘটনা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে তো বটেই। এমনকি আমন্ত্রণকারী দেশটির অনেকই এই ঘটনার সাথে বিরোধিতা করেছে।
সিউলে কয়েকশ মানুষ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মার্কিন দূতাবাসের কাছে শত শত মানুষ 'নো ট্রাম্প!' স্লোগান দেয়। মিছিলের অদূরেই বিক্ষোভকারীদের আরেকটি অংশ 'নো চায়না', 'সিসিপি আউট!' স্লোগানে তোলে।
প্রতিবাদগুলো দেখাচ্ছে যে, জনগণের একটি অংশ দক্ষিণ কোরিয়ায় ট্রাম্পের অর্থনৈতিক চাওয়া-পাওয়া ও চীনের প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ংয়ের কৌশলই নির্ধারণ করবে দক্ষিণ কোরিয়ার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে লি জে-মিয়ং ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে ব্যস্ত। সে যুক্তরাষ্ট্রকে এরই মধ্যে জানিয়েছে, তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ও ১০০ বিলিয়ন ডলারের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনবে। বিনিময়ে ট্রাম্প শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশে আনতে রাজি হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ং চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করারও পক্ষে। সে ভিসানীতি শিথিল করেছে এবং শি জিনপিংয়ের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবে। এটি গত ১১ বছরে শি'র প্রথম দক্ষিণ কোরিয়া সফর। লি বৈষম্যমূলক সমাবেশ নিষিদ্ধের আইন এনেছে ও স্পষ্ট করেছে যে তার লক্ষ্য চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা।
বৈঠকের পর শি জিনপিং এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপেক) সম্মেলনে অংশ নেবে। সে ট্রাম্পের তুলনায় বেশি সময় দক্ষিণ কোরিয়ায় কাটাবে। এটি চীনকে স্থিতিশীল বাণিজ্যিক অংশীদার ও বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে দেখানোর সুযোগ দেবে। লিয়ের চীন-বান্ধব নীতি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ভবিষ্যতে আলোচনার পথও খুলতে পারে বলে অনেকে মনে করছে।
 
             
             
                                         
                                         
                                         
                                        
Your Comment