৬ নভেম্বর ২০২৫ - ০৬:০৪
মামদানির প্রথম ভাষণ: নিউইয়র্কে ইসলামোফোবিয়ার কোনো স্থান নেই।

আমেরিকার নিউইয়র্কের ১০০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ এবং প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাট সমর্থিত প্রার্থী জোহরান মামদানি

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): নিউইয়র্কবাসী তরুণ বামপন্থী জোহরান মামদানিকে তাদের পরবর্তী মেয়র নির্বাচিত করার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটরা দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের গভর্নর পদেও জয়লাভ করেছেন।




জয়ের পর তার প্রথম জনসভায় মামদানি বলেছেন, নিউইয়র্কে ইসলামোফোবিয়ার কোনও স্থান নেই।


মামদানি বলেন, আমার বন্ধুরা, আমরা একটি রাজনৈতিক রাজবংশের পতন ঘটিয়েছি। নিউইয়র্কের নতুন প্রজন্মকে ধন্যবাদ, আমরা তোমাদের জন্য লড়াই করব কারণ আমরা তোমাদেরই।


নিউইয়র্ক শহর এই মুহূর্তে নিঃশ্বাস নিচ্ছে, আমরা এতদিন ধরে আমাদের নিঃশ্বাস আটকে রেখেছি।


নিউইয়র্ক অভিবাসীদের শহর হিসেবেই থাকবে। অভিবাসীদের দ্বারা নির্মিত, অভিবাসীদের দ্বারা পরিচালিত এবং আজ রাত থেকে একজন অভিবাসীর নেতৃত্বে।


মামদানি বলেন, আমি তরুণ এবং আমি একজন মুসলিম। আমি মুসলিম হওয়ার জন্য ক্ষমা চাইতে রাজি নই। নিউইয়র্ক শহরে আর আপনাকে ইসলামোফোবিয়ায় ভুগতে হবে না।


মামদানি বলেন, নিউইয়র্কে দশ লক্ষের বেশি মুসলিম এখন থেকে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করবেন। অনেক মুসলিমকেই পরিচয় লুকিয়ে রাখতে হয়, ভয় ও সামাজিক চাপে থাকতে হয়।

‘প্রত্যেক মুসলিমের স্বপ্ন হলো, অন্য যেকোনো নিউ ইয়র্কবাসীর মতো স্বাভাবিকভাবে বাঁচা। কিন্তু আমাদের বলা হয় কম আশা করতে, ঘৃণা ও গোঁড়ামি সহ্য করতে। এখন আর তা হবে না।


ইসলামোফোবিয়া নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলার কারণে জোহরান মামদানি ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সসহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তির সমালোচনার মুখে পড়েছেন।


মেয়র নির্বাচনে মামদানির এই অবস্থান মুসলিম অধিকার ও পরিচয় নিয়ে নতুন আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

এর আগে ২৪ অক্টোবর ব্রঙ্কসের এক মসজিদের বাইরে সমাবেশে তিনি বলেন, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হামলার পর তাঁর খালা কীভাবে হিজাব পরে পাতাল রেলে যাতায়াত করতে ভয় পেতেন, অনিরাপদ বোধ করতেন।

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha