৭ নভেম্বর ২০২৫ - ০৪:৪১
হামাসের সঙ্গে অস্থায়ী চুক্তি হয়েছে।

গাজার প্রশাসন সামলাবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) সঙ্গে একটি ‘অস্থায়ী চুক্তিতে’ পৌঁছেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস।




এই চুক্তির আওতায় গাজার প্রশাসন সামলাবে রামাল্লাহ অবস্থিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের একটি অস্থায়ী কমিটি। মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন হামাস নেতা মুসা আবু মারজুক। 


মারজুক বলেন, এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের একজন মন্ত্রী। আর এই কমিটি গাজার সীমান্ত পারাপার ও নিরাপত্তা বাহিনী তত্ত্বাবধান করবে।


তবে ওয়াশিংটন এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কি না, তা স্পষ্ট করেননি তিনি।


মারজুক আরও বলেন, তেল আবিব গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের অনুমতি দিতে অস্বীকার করছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত খসড়া পরিকল্পনার বিপরীত। কারণ, সেখানে গাজায় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তোলা হয়েছিল।

হামাসের এই নেতা বলেন, ‘এই বিষয়ে এখনো দীর্ঘ আলোচনা প্রয়োজন।’ মারজুক নিশ্চিত করেছেন, আন্তর্জাতিক ওই নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্ব ও ক্ষমতা নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। আর এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তথাকথিত ‘শান্তি পরিকল্পনা’র একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। 

হামাসের নিরস্ত্রীকরণ প্রসঙ্গে মারজুক বলেন, ‘গাজার মাটিতে হামাসই কার্যত নিয়ন্ত্রণে আছে। যদি তাদের নিরস্ত্র করা হয়, অন্য গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র হাতে উঠবে।

যেমন ইরাকে সেনাবাহিনী বিলুপ্ত হওয়ার পর বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে, আল কায়েদা আর আইএস উত্থান ঘটায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এতে স্থিতিশীলতা আসবে না, বরং যুদ্ধবিরতি বা অন্য কোনো চুক্তি বাস্তবায়ন আরও কঠিন হবে।

গাজায় কোনো শূন্যতা নেই, যেকোনো বিকল্প বাহিনী অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের দ্বারা গঠিত ও তাদের সম্মতিতে হতে হবে। যাতে কোনো অভ্যন্তরীণ সংঘাত না হয়।’ 

এর আগে হামাস ও পিএ-এর ফাতাহ দল মিসরে বৈঠক করে কিছু প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছেছিল। তবে সেসব চুক্তি বাস্তবে কীভাবে কার্যকর হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ট্রাম্পের পরিকল্পনায় গাজায় একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠন এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের অন্তত দুই বছর মেয়াদি ‘প্রশাসন’ পরিচালনার প্রস্তাব রয়েছে, যা পরে বাড়ানো যেতে পারে।

ওয়াশিংটনের খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, পিএ কেবল তখনই গাজার প্রশাসন নিতে পারবে, যখন তারা ‘সংস্কার কর্মসূচি সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন করবে’ এবং ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন ‘বোর্ড অব পিস’ থেকে ‘চূড়ান্ত অনুমোদন’ পাবে। তবে কিছু আরব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিকল্পনার কয়েকটি অংশ প্রত্যাখ্যান করেছে।

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha