আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): হুজ্জাতুল ইসলাম সাইয়্যিদ নাজিবুর হাসান যাইদী বলেন যে হযরত ফাতেমা যাহরা (সা.আ.)-এর বাস্তব জীবন নারীদের জন্য একটি ব্যাপক এবং অনুপ্রেরণামূলক আদর্শ; এমন একটি আদর্শ যা তাদের পারিবারিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক জীবনে মর্যাদা, সম্মান এবং দায়িত্বের সাথে পরিচালিত করে এবং যেকোনো স্লোগান বা তত্ত্বের বাইরে নারীর প্রকৃত অবস্থান চিত্রিত করে।
হুজ্জাতুল ইসলাম সাইয়্যেদ নাজিবুল হাসান যাইদী: আমরা এমন এক যুগে বাস করছি যা দৃশ্যত অগ্রগতি ও উন্নয়নের যুগ, কিন্তু বৌদ্ধিক এবং তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে, এই যুগটি খালি স্লোগান এবং বিভ্রান্তিকর চিন্তাভাবনায় পরিপূর্ণ একটি যুগ।
আজ, শিল্প ও প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে, জাল পণ্য, জাল কোম্পানি এবং মিথ্যা ধারণা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এই জাল স্লোগানগুলির মধ্যে একটি হল "নারী অধিকার" দাবি, যা কিছু গোষ্ঠী নারীবাদের নামে তুলে ধরেছে।
দুর্ভাগ্যজনক তথ্য হলো, যারা এই স্লোগানের পতাকা বহন করে, তাদের অনেকেই বাস্তবে নারীর অবস্থানকে শোষণ এবং অবমূল্যায়ন করে। নারীবাদের স্পষ্টতই একটি অত্যন্ত শক্তিশালী দাবি রয়েছে, কিন্তু বাস্তবে, এটি নারীদের সেই অবস্থানে নিয়ে আসেনি যা ইসলাম তাদের জন্য নির্ধারণ করেছে।
হযরত ফাতেমা (সা.আ.)-এর জীবনে নারীর অধিকার, মর্যাদা, দায়িত্ব এবং সামাজিক ভূমিকার এমন অসাধারণ উদাহরণ দেখা যায় যা আধুনিক কোনও আন্দোলন বা তত্ত্বে পাওয়া যায় না। হযরত যাহরা (সা.আ.) ঘর, সমাজ, রাজনীতি এবং শিক্ষায় ভূমিকা পালন করে নারীর প্রকৃত অবস্থানের একটি সম্পূর্ণ চিত্র তুলে ধরেছিলেন।
এই আদর্শটি দেখায় যে নারীরা তাদের মর্যাদা এবং আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ বজায় রেখে জীবনের সকল ক্ষেত্রে সক্রিয় এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। হযরত যাহরা (সা.আ.)-এর জীবন নারীদের জন্য সর্বোত্তম ব্যবহারিক এবং অনুকরণীয় উদাহরণ, যা তাদের পারিবারিক এবং সামাজিক জীবনকে উন্নত করে এবং তাদের মর্যাদা এবং আধ্যাত্মিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে।
Your Comment