২২ ডিসেম্বর ২০২৫ - ২৩:১৫
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই আবারও অবৈধ ১৯ বসতি স্থাপনের সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের

অবৈধভাবে দখল করা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে নতুন ১৯টি বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): কট্টর ডানপন্থি ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ এবং বর্তমানে দেশটির অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোতরিচ বলেছে: ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজকে এ বিষয়ক একটি প্রস্তাব দিয়েছিল সে, গতকাল সেটি পাস হয়েছে।




আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের কোনো বসতি স্থাপন করা অবৈধ বিবেচনা করা হয়।


ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছে, পশ্চিম তীর অঞ্চলে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব কার্যক্রমের এই ধারাবাহিক সম্প্রসারণ একদিকে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে উত্তেজনাকে আরও উসকে দিচ্ছে, অন্যদিকে প্রস্তাবিত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের গঠনকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক আইনকে উপেক্ষা করে বসতি স্থাপনের মাধ্যমে গত কয়েক দশক ধরে একটু একটু করে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর দখল করছে ইসরায়েল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর আমলে গত প্রায় তিন বছরে এই কার্যক্রমে রীতিমতো উল্লম্ফন ঘটেছে।

২০২৩ সালে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়ে গেছে। এখন সেখানে ইহুদি বসতি আরও সম্প্রসারণ হতে থাকায় ইসরায়েলের দখলদারিত্ব বিস্তৃত হওয়া এবং দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের আশঙ্কা বাড়ছে।

২০২২ সালে ক্ষমতায় আসার পর বর্তমান ইসরায়েল সরকার পশ্চিম তীরে নতুন বসতি সম্প্রসারণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে। সর্বশেষ সেখানে ১৯ টি নতুন বসতি স্থাপন অনুমোদন পাওয়ায় গত তিন বছরে অনুমোদিত মোট বসতির সংখ্যা দাঁড়াল ৬৯টিতে।

নতুন বসতিগুলো অনুমোদন পেয়েছে জেনিম ও কাদিমে। ২০ বছর আগে এই এলাকা দুটিতে বসতি ভেঙে ফেলা হয়েছিল। সেখানেই আবার নতুন করে বসতি গড়ে তোলা হচ্ছে এবার। জাতিসংঘ পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণ ২০১৭ সালের পর এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে বলে জানানোর কয়েকদিন পর ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ এল।

গত মে মাসে ইসরায়েল পশ্চিম তীরে ২২টি নতুন বসতি অনুমোদন করেছিল। সেটি ছিল কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বসতি সম্প্রসারণ।

ইসরায়েল সরকার অগাস্টেও ৩ হাজারেরও বেশি বাড়ি নির্মাণ অনুমোদন করেছিল ইওয়ান প্রজেক্টের আওতায়। জেরুজালেম এবং মালে আদুমিম বসতির মাঝে এই বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha