‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
বুধবার

৮ ডিসেম্বর ২০২১

৯:২৪:৪৬ AM
1206417

ডা. মুরাদের এমপি পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারীদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য (এমপি) পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট হয়েছে।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : আজ (বুধবার) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায়  রিটটি করেন। রিটে জামালপুর-৪ আসনের মুরাদ হাসানে কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তও চাওয়া হয়েছে।

এর আগে গতকাল (মঙ্গলবার) তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়েন ডা. মুরাদ হাসান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পর গতকাল দুপুরে ই-মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দিয়ে আসেন তথ্য প্রতিমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

পরে সেটি সারসংক্ষেপ আকারে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরবর্তীতে সেটি যায় বঙ্গভবনে। মঙ্গলবার রাতে মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রাতেই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

একই দিন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে ডা. মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দিয়ে তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ করে জেলা আওয়ামী লীগ। দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

দলের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল কিংবা বহিষ্কৃত হবেন কি না এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক হলে তখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

সদস্যপদ বাতিল কিংবা বহিষ্কৃত হলে মুরাদের সংসদ সদস্য পদ থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার।’

দল থেকে বহিষ্কার করলে এমপি পদ যাবে কিনা এ বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে বলা নেই আইনে। তারপরও আইনজীবীরা বলছেন- বহিষ্কার হলেই পদ হারাতে হবে তাকে। আইনে বিতর্ক থাকলেও সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন ডা. মুরাদ।

সম্প্রতি ডা. মুরাদ হাসান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে একটি অনলাইন সাক্ষাৎকারে অসৌজন্যমূলক কথা বলেন। এর পরই প্রতিমন্ত্রী মুরাদের একটি কথোপকথন ফাঁস হয়, যেখানে তিনি অশ্লীল ভাষায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে কথা বলেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে ডা. মুরাদের শাস্তির দাবি ওঠে।#

342/