এনসিসি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ‘এনসিসি’র ফান্ড চেয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। গত মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ৬ দফায় রাজ্য সরকারের কাছে ফান্ডের জন্য আবেদন করা হয়। মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবের কাছে টাকার জন্য আবেদন জানায় এনসিসি কর্মকর্তারা। কিন্তু তা সত্ত্বেও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে চূড়ান্ত আর্থিক সমস্যায় পড়েছে ভারতীয় সশস্ত্র সেনাবাহিনীর এই যুব শাখা।
এনসিসি’র মহাপরিচালককে (ডিজি) চিঠি লিখে সমস্যার কথা জানিয়েছেন রাজ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি)। সেই চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েও।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য আজ (বুধবার) বলেন, ‘রাজ্য সরকারের মেলা-খেলার অর্থনীতি কার্যত গোটা রাজ্যকে খাদের কিনারায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়েছে। একদিকে, দুর্গাপুজোর ফান্ড দেওয়া হচ্ছে, ক্লাবগুলোকে টাকা দেওয়া হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় মেলায় মচ্ছব চলছে, অপরিকল্পিত ব্যয় বাড়ছে। বিভিন্ন জায়গায় সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ নেই। সরকার সর্বস্তরে তাদের দীনতাকে প্রকাশ করে ফেলেছে।’
ওই ইস্যুতে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘এনসিসি-সহ নানাবিধ কর্মসূচি আমাদের দেশে চলে, যেটা গঠন করে, গড়ে তোলে মানুষ, ভবিষ্যৎ। রাজ্য সরকার তাদের ফান্ড দিতে পারছে না, এটা খুবই বেঠিক কাজ। রাজ্য সরকারের তো টাকার অভাব নেই। মেলাতে আছে, খেলাতে আছে, উৎসবে আছে, সব ব্যাপারে তো রাজ্য সরকার আছে। কিন্তু এনসিসির টাকাটাই বাদ! এটা খুব অন্যায় কাজ।’
তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন এমপি ওই ইস্যুতে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যের ১ লক্ষ ৯৬৮ কোটি টাকা পাওনা আছে। রাজ্যে শুধু তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আছে বলে গাজোয়ারি করে ওই টাকাটা কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করছে। এবং ভারতে আগে এটা কোনো দিন দেখা যায়নি বলেও মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন এমপি। #
342/