মার্কিন গণমাধ্যম “দি হিল”কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, আমেরিকা হচ্ছে একমাত্র দেশ যার কথা ইসরাইল শুনবে। সেক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের উচিত তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরাইলের উপর প্রভাব বিস্তার করা এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তেল আবিব যেন তা মেনে চলে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা।
ইসরাইলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করে কোরনিচুক কৌতুক করে বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে দিয়ে তিনি ইসরাইলকে রাশিয়া সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার ব্যাপারে আলাদা করবেন। তিনি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার বিশেষ সম্পর্ক থাকার কারণে বিভিন্ন সময়ে ইউক্রেনকে সমর্থন দেয়ার নানা পদক্ষেপ নিয়ে তারা আলোচনা করে থাকেন।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত তার ভাষায় বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্ব যে অবস্থান নিয়েছে তার থেকে ইসরাইলের যে ভিন্ন অবস্থান, সে ধারায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা জরুরি।
কোরনিচুক স্বীকার করেন, ইসরাইলের সঙ্গে তার দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বেশ কিছু ইতিবাচক ঘটনা ঘটেছে যার কারণে ইসরাইল সম্প্রতি ক্ষেপণাস্ত্র সতর্কীকরণ ব্যবস্থা দেয়ার কথা জানিয়েছে। তবে ইউক্রেন ইসরাইলের কাছ থেকে আরো কিছু আশা করে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, কিয়েভ ইস্যুতে রাশিয়া এবং ইরানের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা রয়েছে। এ কারণে ইসরাইল তার অবস্থানে পরিবর্তন আনবে এবং ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেবে বলে তিনি আশা করেন।#
342/