তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রোববার মস্কোয় একথাও বলেছেন যে, শোলৎজের সঙ্গে এই মুহূর্তে পুতিনের কোনো টেলিফোনালাপের কর্মসূচি নেই। পেসকভ বলেন, কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে কথা বলতে পুতিনের আপত্তি নেই।
এর আগে রোববারই ডার তাজেস্পাইগেল পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জার্মান চ্যান্সেলর বলেছিলেন, তিনি শিগগিরই পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলবেন। শোলৎজ বলেন, “ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে বার্লিন ও মস্কোর দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যাপক মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের টেলিফোনালাপের ভাষা অশিষ্ট হবে না।”
তিনি ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেন। জার্মান চ্যান্সেলর অবশ্য পুতিনের সঙ্গে সংলাপের পূর্বশর্তও ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “আলাপের শর্ত সুস্পষ্ট- ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার।” তবে ওই পূর্বশর্তের ব্যাপারে ক্রেমলিনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শোলৎজ ও পুতিন সর্বশেষ ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর টেলিফোনে কথা বলেন। ওই ফোনালাপে ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোর নীতি-অবস্থানকে ধ্বংসাত্মক আখ্যায়িত করে প্রেসিডেন্ট পুতিন জার্মান চ্যান্সেলরকে তার দেশের নীতি-অবস্থান পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।#
342/