রায় ঘোষণার সময় আদালতে সরকারি কৌঁসুলিদের পাশাপাশি তোন্দারের হামলায় নিহতদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং অভিযুক্তের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় ২০২০ সালের আগস্ট মাসে জামশিদ শারমাহদকে আটক করার কথা ঘোষণা করে। তার বিরুদ্ধে আমেরিকায় অবস্থান করে ইরানে সন্ত্রাসী হামলা ও নাশকতামূলক তৎপরতা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
৬৭ বছর বয়সি এই সন্ত্রাসী নেতার বিরুদ্ধে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে গোয়েন্দাবৃত্তির কাজে আমেরিকাকে সহযোগিতা করার অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে। আদালতের সাক্ষ্যপ্রমাণের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা মিজান জানিয়েছে, শারমাহদ ইরানব্যাপী ২৩টি সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করে পাঁচটিতে সফল হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার সুযোগ পাবে শারমাহদ।
২০২০ সালে আটকের পর শারমাহদ ইরানের শিরাজ নগরীতে ২০০৮ সালে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য বিস্ফোরক সরবরাহের দায়িত্ব স্বীকার করে। ওই হামলায় ১৪ জন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছিলেন।
ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় বলেছে, আমেরিকা-ভিত্তিক এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইরানের বিভিন্ন স্থানে আরো বড় ধরনের কয়েকটি হামলার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে সেসব পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তোন্দার প্রকাশ্যে ইরানের ইসলামি শাসনব্যবস্থার পতন ঘটানোর ঘোষণা দিয়ে তাদের তৎপরতা শুরু করেছিল।#
342/