বিবৃতিতে ইরানকে তার পরমাণু
কর্মসূচির ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এতে
ইরানকে পরমাণু কর্মসূচির ক্ষেত্রে বিতর্কিত ইস্যুগুলোর সমাধান করতে এবং
ইরানের নতুন পরমাণু স্থাপনাগুলোর ব্যাপারে আইএইএ’কে তথ্য প্রদান করার
আহ্বান জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে আইএইএ’র ৬২ সদস্যদেশ স্বাক্ষর করেছে।
তবে এটি প্রত্যাখ্যান করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি বলেছেন, গত মার্চে ইরান ও আইএইএ যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছিল তার ভিত্তিতে দুই পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে।
তিনি বলেন, এর ফলে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি ইস্যুর সমাধান হয়েছে এবং আরো কিছু ইস্যু নিয়ে আলোচনা চলছে যেগুলোর কোনো কারিগরি ভিত্তি নেই বরং রাজনৈতিক কারণে উত্থাপন করা হয়েছে। কানয়ানি বলেন, সেফগার্ড এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী আইএইএ’কে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে তেহরান প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও আমেরিকা সব সময় ইরানের বিরুদ্ধে শত্রুতা করে এসেছে এবং তারা তেহরান-আইএইএ কারিগরি সহযোগিতার বিষয়কে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার হাতিয়ার বানিয়েছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এর ফলে আইএইএ’কে ইরান আন্তরিকতার সঙ্গে যে সহযোগিতা করে এসেছে তা উপেক্ষা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।#
342/