গতকাল (রোববার) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স পেইজে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দখলদার ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধের অবসান দাবি করছে তখন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের ওপর ভেটো দিয়ে আমেরিকা প্রমাণ করেছে যে, গাজা যুদ্ধ এবং অবরুদ্ধ এই জনপদের মানুষের ওপর ইসরাইল যে অপরাধযজ্ঞ চালাচ্ছে তার মূলে রয়েছে আমেরিকা।”
প্রেসিডেন্ট রায়িসি সুস্পষ্ট করে বলেন, গাজায় নিরপরাধ নারী ও শিশুর গণহত্যার প্রধান সমর্থক হচ্ছে আমেরিকা।
গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক ত্রাণ পাঠানোর দাবিতে শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব আনা হয়। পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৩ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় এবং ব্রিটেন ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে। ফলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও প্রস্তাবের ওপর ভেটো দেয় আমেরিকা। এ কারণে প্রস্তাবটি চূড়ান্তভাবে পাস হতে পারেনি। এ নিয়ে সারা বিশ্ব আমেরিকার সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে।
প্রস্তাবে ভেটো দেয়ার পরপরই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেছিলেন, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে বাধা দেয়ার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে এমন প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটতে পারে যা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এছাড়া ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি শনিবার বলেছেন, আমেরিকা এই ভেটো প্রদানের মধ্য দিয়ে নতুন করে দেখিয়ে দিল যে, গাজার গণহত্যায় তারাই নেতৃত্ব দিচ্ছে।#
342/