আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ইরাকের জাতীয় হিকমাহ মুভমেন্টের প্রধান
হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন সাইয়্যেদ আম্মার হাকিম তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে
মাজহাবসমূহের নৈকট্য করণ (তাকরিবে মাজাহেব) বিষয়ক বিশ্বসংস্থার মহাসচিব হুজ্জাতুল
ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন হামিদ শাহরিয়ারিসহ এই সংগঠনের উচ্চ পরিষদের কতিপয় বিজ্ঞ
ব্যক্তিত্বদের সাথে সাক্ষাত ও মতবিনিময় করেছেন।
তিনি অতিথিদেরকে স্বাগত জানিয়ে এবং এই সফরের সফলতার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের দেশ ইতিহাসে একটি অক্ষ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে এবং ইমাম মাহদীর (আল্লাহ তাঁর আগমনকে তরান্বিত করুক) সংস্কার আন্দোলনেও মৌলিক ভূমিকা রাখবে।
গাজায় আমাদের জনগণের নিপীড়ন ও গণহত্যার কারণে ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবার কথা উল্লেখ করে হুজ্জাতুল ইসলাম হাকিম বলেন, যেমনভাবে ইসরাইল সরকারের প্রতি পশ্চিমাদের পৃষ্ঠপোষকতা অন্যায় আচরণ; তেমনি মানবাধিকার, নারী ও শিশু অধিকার এবং বাক-স্বাধীনতার বিষয়ে তাদের দাবিরও কোন সত্যতা নেই।
তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের প্রশংসা পূর্বক বলেন: পশ্চিমে ব্যাপক বিক্ষোভ, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন, ফিলিস্তিনের মূল লক্ষ্যের প্রতি সহানুভূতির প্রমাণ।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ফিলিস্তিনের পক্ষে সহানুভূতি জানানো এবং গাজা সংকট মোকাবেলা করার লক্ষ্যে একটি উপযুক্ত প্লাটফর্মে পরিবর্তন হয়েছে।
ইরাকের ন্যাশনাল হিকমাহ মুভমেন্টের প্রধান ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের অবস্থানের প্রশংসা করে বলেন: আমাদের উচিত গাজা সংকটকে ইসলামী প্রকল্প হিসেবে দেখা এবং ফিলিস্তিনের প্রতিরক্ষায় এর ভূমিকার প্রতি লক্ষ্য রাখা।
তিনি গুরুত্বারোপ করে বলেন, ইরাক সবসময় ফিলিস্তিনের সমর্থনে মাঠে ছিল এবং এক্ষেত্রে সবার শীর্ষে রয়েছে সম্মানিত মার্জাগণের বক্তব্য। ইরাকি সরকার ও তার প্রেসিডেন্টের অবস্থানও সেদিকই রয়েছে।
তিনি আরও বলেন: ইরাক নিরাপত্তা, রাজনৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছে এবং নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য ইরাকের শহরগুলোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে।
ইরাকের সম্প্রদায়গুলোর সদস্যদের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতি এবং বাস্তব ও ইতিবাচক সহাবস্থানের প্রত্যাবর্তনের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এর প্রমাণ হল বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া।
হুজ্জাতুল ইসলাম হাকিম বলেন, ইরাকি সরকারের প্রশাসনিক জোট হচ্ছে, চতুর্থ এবং পঞ্চম সংসদের প্রতিনিধিরা। ইরাকের পরিবর্তন দেশটির প্রতি আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ইতিবাচক পরিবর্তনের সাথেই ঘটেছে।
এসব পরিবর্তনের কারণে দেশটিতে সৃষ্ট উন্নয়নের সুযোগের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন: ইরাক এই অঞ্চলের পক্ষগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি আরও কাছাকাছি আনতে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।
ইরাকের জাতীয় হিকমাহ মুভমেন্টের প্রধান আরও বলেন: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান এবং আরব ও ইসলামি দেশগুলোর সঙ্গে ইরাকের সম্পর্ক শুধু কূটনৈতিক নয়, বরং তা একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সম্পর্ক।#176A