এ ছাড়া এক্সে ওই পোস্টে লেখা ছিল, ‘ইতিহাস সব সময় নজর রাখছে।’ এই পোস্টটি করেছিলেন ক্রেগ মোখিবার। তিনি জাতিসংঘের একজন সাবেক মানবাধিকার কর্মকর্তা, যিনি গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ‘গণহত্যা’ প্রতিরোধে বিশ্ব সংস্থার ব্যর্থতার অভিযোগ এনে গত অক্টোবরের শেষের দিকে পদত্যাগ করেছিলেন।
২০২২ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের মাধ্যমে নিযুক্ত স্বাধীন বিশেষজ্ঞ আলবানিজ ওই পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, ‘আমি আজকে ঠিক এটাই ভাবছিলাম।
এর পরই ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আলবানিজের প্রতি নিন্দা জানিয়ে বলে, তার পরিত্রাণ সম্ভব নয়। মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, ‘এটা অকল্পনীয় যে (আলবানিজ) এখনো ইহুদিবিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য জাতিসংঘকে ঢাল হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন।’
এদিকে জেনেভায় জাতিসংঘে ইসরায়েলের মিশনও এ বিষয়ে কথা বলেছে। তাদের মতে, যখন জাতিসংঘের একজন বর্তমান বিশেষজ্ঞ সাবেক কর্মকর্তার ছড়ানো হলোকাস্ট বিকৃতিকে সমর্থন করে, তখন এর অর্থ দাঁড়ায়, মূল ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে।
এ ছাড়া জেনেভায় ইসরায়েলের নতুন রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েল মেরনও আলবানিজের প্রতিক্রিয়ার নিন্দা করেছেন।
ইসরায়েলের শীর্ষ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও এ ঘটনায় মন্তব্য করেছে। জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিশেল টেলর এক্সে বলেছেন, ‘জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ারের বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে অ্যাডল্ফ হিটলারের তুলনা নিন্দনীয় ও ইহুদিবিরোধী।’
তবে শুক্রবার আলবানিজ সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ‘হলোকাস্টের স্মৃতি অক্ষত রয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার ফলে গাজা উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধ শুরু হয়। ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, সেই হামলায় এক হাজার ১৯৭ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। অন্যদিকে হামাসশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুসারে, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে এখন পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ৩৯ হাজার ১৭৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
সূত্র : এএফপি
342/