‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Ittefaq
মঙ্গলবার

৩০ মে ২০১৭

৫:৪৯:২৬ AM
832904

সেন্টমার্টিনে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত (ছবি)

ঝড়ে সেন্টমার্টিনে বেশ কিছু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় একজন ইউপি সদস্য জানিয়েছেন। বহু গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। এসব এলাকায় প্রচণ্ড বেগে বাতাস বইছে। সঙ্গে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে।

আবনা ডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করছে। কক্সবাজারের টেকনাফসহ আশেপাশের এলাকায় প্রবল বেগে বইছে ঝড়। সঙ্গে রয়েছে বৃষ্টি। বাড়ছে বাতাসের গতিবেগ। ঝড়ে সেন্টমার্টিনে বেশ কিছু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় একজন ইউপি সদস্য জানিয়েছেন। বহু গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। এসব এলাকায় প্রচণ্ড বেগে বাতাস বইছে। সঙ্গে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, ভোর চারটার দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন এলাকা অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এসব এলাকায় এখন বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। তিনি আরও বলেন, ১৯৯১ ও ১৯৯৪ সালে আঘাত হানা ঝড়ের চেয়ে এবারের ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ কিছুটা বেশি বলে স্থানীয় লোকজন তাঁদের জানাচ্ছেন।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান খান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ভোর চারটার পর থেকে সেন্টমার্টিন লণ্ডভণ্ড হতে শুরু করে। ছয়টা নাগাদ সেন্টমার্টিনের দুই শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। এর মধ্যে রয়েছে কাঁচা ঘর বেশি। আধাপাকা ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশির ভাগ ঘরের চালা উড়ে গেছে। এছাড়া বহু গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে।
যারা আশ্রয়কেন্দ্র ও হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁরা সবাই খুবই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। তাঁরা বলছেন, এর আগে তাঁরা কখনো এমন ভয়াবহ ঝড় দেখেননি।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সোমবার (২৯ মে) রাতে সমুদ্রে জোয়ারের পানি স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে বেড়ে যাওয়ায় উপকূলের এসব গ্রাম প্লাবিত হয়।
জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়া কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক, কুতুবদিয়াপাড়া, ফদনারডেইল, সমিতি পাড়া, মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি, ধলঘাটা, পেকুয়ার রাজাখালী, মগনামা, উজানটিয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১০টি গ্রামে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে। ফলে জোয়ারের পানিতে মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। এছাড়া উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।#