ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর লাগাতার গোলাবর্ষণে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় শুক্রবার (১৮ জুলাই) অন্তত ৪১ জন নিহত এবং আরও ১১০ জনের মতো আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৫৮ হাজার ৬৬৭ জন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৪ জন ফিলিস্তিনি।
আহলুলবাইত (আ.) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা - আবনা - এর প্রতিবেদন অনুসারে: ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়লি এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয় গাজায়।
হামলার পরপরই জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। টানা প্রায় ১৫ মাস ধরে চলা অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে বাধ্য হয় ইসরায়েল।
তবে যুদ্ধবিরতির দুই মাস শেষ না হতেই ১৮ মার্চ থেকে আবারও দ্বিতীয় দফার সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। এ অভিযানে গত আড়াই মাসে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৭ হাজার ৮৪৩ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন প্রায় ২৭ হাজার ৯৯৩ জন।
হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া ২৫১ জনের মধ্যে এখনো অন্তত ৩৫ জন জীবিত বলে মনে করছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের উদ্ধারে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একাধিকবার ইসরায়েলকে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা দায়ের হয়েছে।
তবে এসব চাপের মুখেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, “হামাসকে সম্পূর্ণভাবে দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং সকল জিম্মিকে মুক্ত না করা পর্যন্ত গাজায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়া হবে।”
Your Comment