৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ - ২৩:৩০
গাজায় দুই দিনে সাংবাদিক-শিশুসহ দেড় শতাধিক নিহত

গাজা সিটিতে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর হামলায় ৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের মধ্যে ত্রাণপ্রার্থীও রয়েছেন।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন যেন থামছেই না। সেখানে দুইদিনে আরও দেড় শতাধিক মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।



গাজা সিটিতে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর হামলায় ৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের মধ্যে ত্রাণপ্রার্থীও রয়েছেন। প্রায় ১০ লাখ মানুষের আবাসস্থল এই শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিতে চাচ্ছে ইসরায়েল।

মঙ্গলবার গাজাজুড়ে কমপক্ষে ১০৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি হামলায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, বিশেষ করে আল-সাবরা কয়েকদিন ধরে চলা আক্রমণে ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে কমপক্ষে ৩২ জন নিহত হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার পরেও গাজায় আগ্রাসন বন্ধ করছে না ইসরায়েল। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজা শহর দখলের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে এবং হামলা আরও তীব্রতর হচ্ছে।

গাজা সিটিতে ফিলিস্তিনিরা এখন খাঁচায় বন্দী, যতটা সম্ভব বিমান হামলা থেকে বাঁচার চেষ্টা করে যাচ্ছে তারা। কিন্তু যেখানেই যাচ্ছে সেখানেই বিমান হামলা চালানো হচ্ছে বলে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

গাজাবাসী খাদ্য ও ত্রাণ অবরোধের কারণেও মারা যাচ্ছে কারণ জীবিকা নির্বাহের মৌলিক উপকরণ পাচ্ছে না তারা।  বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা এবং অনাহারের কারণে ফিলিস্তিনিরা বেঁচে থাকার তীব্র লড়াই করে যাচ্ছে।

গত ২৪ ঘন্টায় কমপক্ষে ১৩ জন অনাহারে মারা গেছে। ফলে এখন পর্যন্ত গাজায় অনাহারে ৩৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার নিহতদের মধ্যে সাত শিশুসহ কমপক্ষে ২১ জন ছিলেন, যারা দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের কাছে আল-মাওয়াসি এলাকায় পানির জন্য লাইনে দাঁড়ানোর সময় ইসরায়েলি ড্রোনের আঘাতে নিহত হন।

নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা এলাকাগুলোতেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজা সিটিতে আল-আফ পরিবারে ইসরায়েলি হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুনJagonews24 Google News Channel

অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৩ হাজার ৬৩৩ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৬০ হাজার ৯১৪ জন।

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha