আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): মোহাম্মদ মাকৌমি মহানবী (সা.)-এর পবিত্র জন্মদিন এবং ঐক্য সপ্তাহের আগমনে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং এই দিনগুলিতে বিভিন্ন কুরআনিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়ে, বলেছেন: "এই শুভ দিনগুলিতে, পবিত্র মাজারের দারুল-কুরআন করিমের প্রশাসন কুরআনিক সমাবেশ এবং সভা আয়োজনের মাধ্যমে তীর্থযাত্রী এবংযিয়ারতকারীদের অংশগ্রহনে স্বাগত জানাবে।"
তিনি স্পষ্ট করে বলেন: হারামের ইমাম খোমেইনী (রহ.) নামক স্থানে (রাওয়াকে) প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর পবিত্র সূরা "ইয়াসিন" তেলাওয়াত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও, গোহারশাদ মসজিদে ফজরের নামাজের পর দৈনিক কুরআন তেলাওয়াত অধিবেশন (গোহারশাদ ওয়ার্ক) অনুষ্ঠিত হবে।
বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন, কর্মসূচির মধ্যে থাকবে প্রতিদিনের কোরআন তিলাওয়াত, ঐতিহ্যবাহী আসর, শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক আয়োজন এবং বিভিন্ন বয়সের জন্য কর্মশালা।
নারীদের জন্য আলাদা সমাবেশেরও আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে কোরআন তিলাওয়াত চক্র এবং “সকল জগতের জন্য রহমত” শীর্ষক বিশেষ অনুষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত।
এছাড়া হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নৈতিক আদর্শ নিয়ে কোরআনিক আলোচনাসভা, ক্লাসিক্যাল গ্রন্থ থেকে পাঠ এবং মাজারের খ্যাতিমান ক্বারিদের তিলাওয়াতও কর্মসূচির অংশ।
মাকৌমিজানান, এ সব আয়োজনের লক্ষ্য হলো ইসলামি ঐক্য সপ্তাহে মাশহাদের যিয়ারতকারী ও স্থানীয়দের একত্রিত করা এবং এই “পবিত্র ও ঐক্যবদ্ধকারী” উপলক্ষকে স্মরণীয় করে রাখা।
ইরানে প্রতিবছর ইসলামি ঐক্য সপ্তাহ পালিত হয় মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সংহতি জোরদার করতে। এটি পালিত হয় হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মতারিখের দুটি ভিন্ন বর্ণনার (সুন্নি ও শিয়া মতে) মধ্যবর্তী সময়ে 12 থেকে 17 রবিউল আওয়াল। এ উপলক্ষে দেশব্যাপী ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
মাশহাদে ইমাম রেযা (আ.)-এর পবিত্র মাজার বিশ্বব্যাপী শিয়া মুসলমানদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কেন্দ্র। মাজারটির কোরআন বিভাগ নিয়মিত তিলাওয়াত, শিক্ষামূলক কর্মশালা ও ধর্মীয় সমাবেশের আয়োজন করে, যাতে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী অংশ নেন।
Your Comment