আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ইসলাম জ্ঞান অর্জন ও মুসলমানদের শিক্ষিত আর সচেতন করার ওপর অত্যন্ত জোর দেয়। এই প্রবন্ধে, আমরা জ্ঞান অর্জন সম্পর্কে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. এবং তাঁর পবিত্র আহলে বাইত আ.-এর কয়েকটি হাদিস তুলে ধরছি:
দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ
خَيرُ الدُّنيا وَالآخِرَةِ مَعَ العِلمِ وَشَرُّ الدُّنيا وَالآخِرَةِ مَعَ الجَهلِ؛
ইসলামের মহানবী-সা. বলেছেন, ইহকাল ও পরকালের কল্যাণ রয়েছে জ্ঞানের মধ্যে আর ইহকাল ও পরকালের অকল্যাণ রয়েছে অজ্ঞতার মধ্যে।বিহারুল আনোয়ার, খন্ড-79, পৃ:-170।
জ্ঞানের যাকাত
زَكاةُ العِلمِ بَذلُهُ لِمُستَحِقِّهِ وَإجهادُ النَّفسِ فِى العَمَلِ بِهِ؛
ইসলামের মহানবীর-সা. প্রতিনিধি ও উত্তরসূরী আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী-আ. বলেছেন, জ্ঞানের জাকাত হল তা শিক্ষা দেয়া ও বাস্তবে তা প্রয়োগের চেষ্টা করা। গোরারুল হিকাম, পৃ:-391।
জ্ঞান অন্বেষণ
لَستُ اُحِبُّ أن أرَى الشّابَّ مِنكُم إلاّ غادِياً في حالَينِ: إمّا عالِماً أو مُتَعَلِّماً؛
ইমাম জাফর আস সাদিক-আ. বলেছেন, আমি তোমাদের কোন যুবককে দুটি অবস্থা ছাড়া দেখতে পছন্দ করি না: হয় একজন পণ্ডিত অথবা একজন ছাত্র। আমালি তুসি, পৃ:-303।
অজ্ঞতার বিনাশক
اَلعِلمُ قاتِلُ الجَهلِ؛
ইমাম আলী-আ. বলেছেন, জ্ঞানই অজ্ঞতার হত্যাকারী বা বিনাশক। গোরারুল হিকাম, পৃ:-56।
সর্বোত্তম জ্ঞান
خَيرُ العِلمِ مانَفَعَ؛
ইমাম আলী-আ. বলেছেন, সর্বোত্তম জ্ঞান হলো যা কল্যাণকর। গোরারুল হিকাম, পৃ:-354।
আল্লাহ তাঁদেরকে ভালোবাসেন
إِنَّ اللّه يُحِبُّ بُغاةَ العِلمِ؛
ইসলামের মহানবী-সা. বলেছেন: নিশ্চয়ই, আল্লাহ জ্ঞান অন্বেষণকারীদের ভালোবাসেন। (মিসবাহ আশ-শরী‘আহ, পৃ. ১৩)
অন্তরের প্রাণশক্তি
إِنَّ العِلمَ حَياةُ القُلوبِ وَ نورُ البصارِ مِنَ العَمى وَ قُوَّةُ البدانِ مِنَ الضَّعفِ؛
ইমাম আলী-আ. বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে জ্ঞান অন্তরের জীবনের উৎস, অন্ধদের চোখ আলোকিত করে এবং দুর্বল দেহকে শক্তি দান করে। তোহাফুল উকুল,পৃ:-28।
জ্ঞানের পাত্র
كُلُّ وِعاءٍ يَضيقُ بِما جُعِلَ فيهِ إِلاّ وِعاءُ العِلمِ فَإِنَّهُ يَتَّسِعُ بِهِ؛
ইমাম আলী-আ. বলেছেন, প্রত্যেক পাত্রের স্থান তার বিষয়বস্তুর দ্বারা সংকীর্ণ হয়ে যায় জ্ঞানের পাত্র ছাড়া, জ্ঞান-পাত্রের স্থান জ্ঞান অর্জনের সাথে সাথে প্রসারিত হয়। নাহজুল বালাগাহ, পৃ:-505।
বিনম্র
إِذا تَفَقَّهَ الرَّفيعُ تَواضَعَ؛
ইমাম আলী-আ. বলেছেন, একজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি যখন বোধগম্যতা এবং জ্ঞান অর্জন করেন তখন তিনি বিনয়ী হন। গোরারুল হিকাম, পৃ:-285।
মীর হুসাইনি
Your Comment