১ অক্টোবর ২০২৫ - ০৯:২৪
কীভাবে সশস্ত্র সংঘাতের রূপ বদলে দিচ্ছে আফ্রিকায় ড্রোন ।

আফ্রিকার ড্রোন শুধু শক্তির ভারসাম্যই বদলায়নি, বরং সংঘাতের ধরন ও আঞ্চলিক জোটকেও নতুনভাবে গড়ে তুলেছে।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ড্রোন আফ্রিকার যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করায় মহাদেশটির সংঘাতের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন  এসেছে। সরকার ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো যখন সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের জন্য প্রতিযোগিতায় নেমেছে, তখন ড্রোন শুধু যুদ্ধের নিয়ম নয়, আফ্রিকার সঙ্গে বৈশ্বিক শক্তিগুলোর সম্পর্কও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে।




গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, নির্ভুল বিমান হামলা, লক্ষ্য চিহ্নিতকরণ ও শত্রুর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অচল করতে ইলেকট্রনিক যুদ্ধ—সবকিছুতেই ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।


 আফ্রিকায় ২০২৩ সালে ড্রোনের বাজার ছিল ৬৫.৫ মিলিয়ন ডলারের, যা ২০৩০ নাগাদ বেড়ে ১০৭ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে পূবার্ভাস দেওয়া হয়েছে।


ড্রোন রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে দ্রুত কৌশলগত সুবিধা দেয়। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আকাশ-নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে। ভূ-রাজনৈতিকভাবে আফ্রিকান দেশগুলোকে পশ্চিমা কাঠামোর বাইরে নতুন নিরাপত্তা অংশীদার বেছে নেওয়ার সুযোগ দেয় এসব।

তবে ড্রোন হামলা অনেক সময় বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটাচ্ছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে ড্রোন চলে যাওয়ায় যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী ও শান্তি আলোচনা জটিল হচ্ছে।

ড্রোন আফ্রিকার যুদ্ধক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে। তবে এগুলোর ভবিষ্যৎ শুধু মালিকানার ওপর নির্ভর করে না, বরং কিভাবে ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ করা হবে তার ওপর নির্ভর করবে। আফ্রিকা এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে—ড্রোনকে দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করে নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করবে, নাকি নতুন এক অন্তহীন যুদ্ধচক্রে জড়িয়ে পড়বে।

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha