আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : আজ (রোববার) কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এমপি জনগণের উদেশ্যে বলেন, ‘সকলে থানায় থানায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে রাখুন। যেদিন উনি রাজ্যপাল থাকবেন না, সেদিন মামলা শুরু করা যাবে। তখন অভিযোগ দায়ের করে, রাজ্যপালকে প্রেসিডেন্সি জেলেই ঢোকানো যেতে পারে।’
অন্যদিকে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় আজ তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এমপিকে টার্গেট করে বলেছেন, ‘উনি তৃণমূলের সিনিয়র নেতা। তিনি সিনিয়র সাংসদ। তিনি একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী। তাঁর মুখে এমন কথা শুনে আমি স্তম্ভিত! বাংলার সংস্কৃতিবান মানুষই এর বিচার করবেন।’
নারদা আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীসহ মোট ৪ জনের গ্রেফতার করেছে। পরে তাঁদেরকে প্রেসিডেন্সি জেলে রাখা হয়। বর্তমানে তাঁরা গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে আজ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল নিজে ওঁদেরকে গ্রেফতার করিয়েছেন।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘রাজ্যপাল সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত তৃণমূলের পিছনে লেগে রয়েছেন। তিনি একটা রক্তচোষা! তদন্ত হলে, রাজ্যপালের মোবাইল, ফোন এবং ওঁর কর্মকর্তাদের ফোন ঘাঁটলে বোঝা যাবে উনি কীভাবে ওই ঘটনা সংগঠিত করেছেন।’
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা ও দলটির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘একজন তৃণমূল এমপি এ ধরনের ভাষায় রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে আক্রমণ করছেন। এটা আসলে সংবিধানের ওপরই আক্রমণ। যদি এটা তৃণমূলের বক্তব্য হয়ে থাকে তাহলে এর থেকেই প্রমাণ হয় যে, সংবিধানে আস্থা নেই তৃণমূলের।’ #
342/