‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
রবিবার

৪ ডিসেম্বর ২০২২

৬:১৭:০৬ PM
1328544

কানাডার এক প্রতিষ্ঠান ও ৮ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল ইরান

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিয়ে কানাডার একটি প্রতিষ্ঠান ও আট ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে সমর্থন এবং ইরানের বিরুদ্ধে সহিংসতা উস্কে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইরানের ইসলামি শাসনব্যবস্থা বিরোধী সন্ত্রাসী মুনাফেকিন গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন এবং ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও সন্ত্রাস উস্কে দেয়ার অপরাধে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সন্ত্রাসী মুনাফেকিন গোষ্ঠী নিজেকে পিপলস মুজাহেদিন বা এমকেও নামে পরিচয় দেয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত কানাডার প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা ইরানের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়িয়েছে এবং ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক নিষেধাজ্ঞা কঠোর করতে সাহায্য করেছে। 

এতে আরো বলা হয়, কানাডা সরকার সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এমকেও’কে সমর্থন ও এটির ইরানবিরোধী অপতৎপরতা অবাধে চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করেছে। 

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, দেশটির বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করে কানাডা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ ঘোষণা লঙ্ঘন করেছে।  

কানাডার যেসব নাগরিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তাদেরকে ইরানে প্রবেশের ভিসা দেয়া হবে না এবং ইরানে তাদের সম্ভাব্য সম্পদ ও ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করা হবে। 

কানাডা সরকার বিগত এক মাসে ইরানের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও বহু নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কানাডা তার ভাষায় দাবি করেছে,  ইরানে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ এবং ‘সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দমনে’ যাদের ভূমিকা রয়েছে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

হিজাব পরিধানে অস্বীকৃতি জানানো একজন কুর্দি নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ইরানে সহিংসতা ও নৈরাজ্য চালাচ্ছে বিদেশি মদদপুষ্ট কিছু স্বার্থান্বেষী মহল। এসব সহিংসতা ও নৈরাজ্য থেকে রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী দাঙ্গাকারীদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করছে যাকে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ ও ‘দমন-পীড়ন’ নামে অভিহিত করছে পশ্চিমা দেশগুলো।#

342/