ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি শনিবার তেহরানে বলেছেন, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং নিজেদেরকে মানবাধিকারের রক্ষক হিসেবে জাহির করার পরিবর্তে পশ্চিমা দেশগুলোর উচিত তাদের নিজেদের নাগরিকদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের চেষ্টা করা। তারা অন্য দেশের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হওয়ার পরিবর্তে যেন তাদের নিজেদের জনগণের মানবাধিকার সমুন্নত রাখা ও তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার প্রতি বেশি মনযোগী হয়।
কানয়ানি বলেন, একথা সবার কাছে বহু আগে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, আমেরিকা ও ইউরোপ তাদের ‘অবৈধ রাজনৈতিক স্বার্থ’ চরিতার্থ করার হাতিয়ার হিসেবে মানবাধিকারকে ব্যবহার করে।
ইরানের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের সূত্র ধরে গত শুক্রবার তিন যুবকের ফাঁসি কার্যকর করার পর আমেরিকা ও ইউরোপ ইরানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। ওই তিন যুবক গত বছর ইরানে বিদেশি মদদে সহিংসতা চলার সময় ইস্পাহান শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে একজন কর্নেলসহ তিনজন নিরাপত্তা কর্মীকে হত্যা করার দায়ে অভিযুক্ত হয়।
সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবার ভোরে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেপ বোরেল ‘কঠোরতম ভাষায়’ ওই মৃত্যুদণ্ডের নিন্দা জানান। তিনি মৃত্যুদণ্ডের বিধান তুলে দেয়ার জন্য ইরানের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনায় ‘ইরানের সরকার কর্তৃক এদেশের জনগণের সম্মান ও মানবাধিকার লঙ্ঘিত’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।#
342/