‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
সোমবার

২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

২:২৪:১৩ PM
1423546

অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলক নির্বাচন চান নতুন ভোটাররা, দক্ষ নেতৃত্বের দাবি

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৭ জানুয়ারি।এ নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠার শেষ নেই। বাংলাদেশে ভোট মানে উৎসব,আনন্দঘন পরিবেশ।রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের আগে বিভিন্ন কলেবরে, বিভিন্ন রঙে-ঢঙে তাদের নির্বাচনি ইশতেহার সাজায়, নানা রকম প্রতিশ্রুতি দেয়। এই ইশতেহারের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন বয়সের জন্য আলাদা আলাদা অঙ্গীকার থাকে।

কিন্তু এবারের নির্বাচনে নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে আওয়ামী লীগসহ ২৯টি দল অংশ নিলেও বিএনপিসহ সমমনা ১৫টি দল অংশ নিচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে  নির্বাচন, ভোটাধিকার নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন রয়েছে। তাদের  প্রত্যাশা জানতে কথা বলা চেষ্টা করেছি আমরা। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলছেন, সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন তাদের প্রত্যাশা। কারন নতুন ভোটার হিসেবে দেশকে সম্মৃদ্ধ করতে ভূমিকা রাখার আগ্রহ তাদের। তারা বলেন, দেশের মোট ভোটারের  চার ভাগের এক ভাগ তরুণ। এই জেনারেশন অনেকটাই রাজনীতি বিমুখ এদেরকে রাজনীতিমুখী করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে তরুণদের সমস্যা গুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে বেকারত্বের সমস্যা। দেশে বেকারত্বের সমস্যা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ। এর মাঝে উচ্চশিক্ষিত বেশি। যারা তরুণদের বেকারত্ব সমস্যা নিয়ে কাজ করবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ও তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতি করার সুষ্ঠ পরিবেশ নিশ্চিত করে দিতে পারবে তরুণ্যের প্রথম ভোট তাদের পক্ষে যাবে।

নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা ফেরাতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব ভূমিকা পালনের আহবান জানান প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকুরী করা, এবারের নতুন ভোটার নাফিস বুলবুল। আর সকল দলের অংশ ছাড়া নির্বাচনকে খাপ ছাড়া বললেন রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম।

নির্বাচনই পারে জণগণের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পরিপূর্ণ সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে। তাই বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের নাগরিক হিসেবে স্বচ্ছ এবং গঠণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবল বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখা সম্ভব বলে মন্তব্য নতুন ভোটারদের। এদিকে, ক্ষমতাসীন সরকারের যে সাফল্যের জোয়ার ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে শুরু হয়েছে তা ধরে রাখতে একজন দক্ষ নেতৃত্ব প্রয়োজন বলে মত দেন অনেক সাধারণ মানুষ। সকলের ভোটের অধিকার এবং মতামত প্রদানের অধিকারকে অক্ষুণ্ণ রেখে, জণগণের চাহিদার পরিস্ফুটন ঘটিয়েই পরিপূর্ণ সরকার ব্যবস্থার জন্ম হবে বলেই বিশ্বাস খেটে খাওয়া শ্রমজীবী জনগণের। #

342/