১৮ জুন ২০২৫ - ০০:২৬
অমিও বাণী

এই আয়াতটি মুসলমানদের জন্য একটি সতর্কীকরণ এবং সান্তনা। কঠিন ঘটনাগুলি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি পরীক্ষা ।

 أَمْ حَسِبْتُمْ أَنْ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَأْتِكُمْ مَثَلُ الَّذِينَ خَلَوْا مِنْ قَبْلِكُمْ ۖ مَسَّتْهُمُ الْبَأْسَاءُ وَالضَّرَّاءُ وَزُلْزِلُوا حَتَّىٰ يَقُولَ الرَّسُولُ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ مَتَىٰ نَصْرُ اللَّهِ أَلَا إِنَّ نَصْرَ اللَّهِ قَرِيبٌ


তোমাদের কি এই ধারণা যে তোমরা বেহেশতে প্রবেশ করবে, অথচ তোমাদের পূর্বগণের উপর ঘটে যাওয়া ঘটনার কিছুই তোমাদের জন্য ঘটবেনা! তারা কষ্ট যন্ত্রণায় আক্রান্ত হয়েছিল তারা এতটাই হতাশ ও বিপর্যস্ত ছিল যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি সাল্লাম এবং তার সাথে যারা ঈমান এনেছিলেন (তারা প্রার্থনা ও সাহায্য চেয়ে) বলতেন: আল্লাহর সাহায্য কখন আসবে? (তাদেরকে বলেছিলাম) জেনে রাখো নিশ্চয়ই আল্লাহর সাহায্য নিকটবর্তী।
সূরা বাকারা/ ২১৪।


আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): এই আয়াতটি অতীতে ঈমান আনয়নকারীদের দ্বারা সহ্য করা কষ্টের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং মুসলমানদের জন্য একটি সতর্কীকরণ এবং সান্তনা। কঠিন ঘটনাগুলি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি পরীক্ষা ।


এই পরীক্ষায় তারাই উত্তীর্ণ হয় যারা আল্লাহর প্রতি প্রকৃত ঈমান রাখে এবং সঠিক পথে অগ্রসর করে।
নিশ্চয়ই আল্লাহর সাহায্য সৎপন্থী ও সৎ কর্মীদের জন্য আছে।


মুফাসসিরগণ বলেছেন: আহযাবের যুদ্ধে যখন মুসলমানরা তীব্র ভয় ও আতঙ্কে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল এবং অবরুদ্ধ ছিল, তখন এই আয়াতটি নাযিল হয়েছিল, যেখানে তাদেরকে ধৈর্য ও দৃঢ়তার আহ্বান জানানো হয়েছিল এবং তাদেরকে সাহায্য ও বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

আবার এভাবেও উল্লেখ হয়েছে: উহুদের যুদ্ধে যখন মুসলমানরা পরাজিত হয়েছিল, তখন "আবদুল্লাহ ইবনে উবাই" তাদের বলেছিলেন:তোমরা কতদিন মৃত্যু ও হত্যার সম্মুখীন হবে, মোঃ যদি সত্যি কার অর্থে আল্লাহর নবী হতো তবে আল্লাহ তার সঙ্গী সাথীদের হত্যা বা বন্দী হতে দিতেন না, এ সময় উপরোক্ত আয়াত নাযিল হয়।
মাজমাউল বায়ান, খণ্ড ১,পৃ: ৩০৮।

Your Comment

You are replying to: .
captcha