আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, লেবাননে হামলায় তারা হিজবুল্লাহর ‘ঘাঁটিগুলোকে’ লক্ষ্যবস্তু করেছে এবং লেবাননের প্রতিরোধ সংগঠনটিকে নিরস্ত্র হতে অস্বীকৃতির অভিযোগ করেছে।
যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরাইলি বাহিনী প্রায় প্রতিদিনই লেবাননের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে আসছে।
হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতিতে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকলেও ইসরায়েলি আগ্রাসন চলতে থাকলে অস্ত্র ত্যাগ করবে না। লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন এই হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থি পূর্ণাঙ্গ অপরাধ’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি ইসরাইলকে অভিযুক্ত করেছেন ‘সন্ত্রাস ছড়ানো ও বেসামরিক জনগণকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার’ জন্য। আউন বলেন, “গত এক বছরে ইসরাইলের আচরণ স্পষ্ট করেছে—তারা কোনো আলোচনাভিত্তিক সমাধান চায় না।”
লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানায়, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান টাইরের তুরা এলাকায় আবাসিক পাড়া লক্ষ্য করে হামলা চালায়, এতে একজন লেবাননি নিহত ও আটজন আহত হন। তায়র দেব্বা এলাকায় আরও একজন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।
লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ইউনিফিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরাইলের এই বোমাবর্ষণ “বেসামরিক জনগণকে বিপন্ন করছে এবং স্থিতিশীলতা রক্ষার প্রচেষ্টাকে দুর্বল করছে।”
ইউনিফিল বলছে, যুক্তরাষ্ট্র একদিকে লেবাননকে হিজবুল্লাহ নিরস্ত্র করতে চাপ দিচ্ছে, অন্যদিকে ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়টি উপেক্ষা করছে।
লেবানন ও ইসরাইল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে রয়েছে এবং শুধুমাত্র জাতিসংঘ, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সীমিত যোগাযোগ বজায় রাখে।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইসরাইলের হাতে হিজবুল্লাহর দীর্ঘদিনের নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহর হত্যার প্রায় এক বছর পরও দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা উচ্চ পর্যায়ে রয়ে গেছে।
হিজবুল্লাহ পুনরায় ঘোষণা করেছে যে তারা দখলদার ইসরাইলি সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসবে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা আমাদের দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার বৈধ অধিকার পুনরায় ঘোষণা করছি। শত্রুর আগ্রাসন অব্যাহত থাকলে আমরা নীরব থাকব না।”
সংগঠনটি বলেছে, ইসরাইলি সেনারা যতদিন লেবাননের ভূমিতে অবস্থান করবে এবং আগ্রাসন চালাবে, ততদিন তারা অস্ত্র ত্যাগ করবে না।
Your Comment