১৭ জুলাই ২০১০ - ১৯:৩০

আহলে বাইত (আ.) বিশ্ব সংস্থার উচ্চতর পরিষদের সদস্য বলেছেন: শহীদ মোতাহারী যখনই কোন ভ্রান্ত চিন্তাধারার মুখোমুখি হতেন, তখন তিনি সুক্ষ্মভাবে জ্ঞানগত নীতিমালা মেনে যথাযথ যুক্তির মাধ্যমে স্বীয় চিন্তাকে ব্যক্ত করতেন।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা আবনার রিপোর্ট: আহলে বাইত (আ.) বিশ্ব সংস্থার উচ্চতর পরিষদের সদস্য ‘হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন ‘মাহদী হাদাভী তেহরানী’ কোমের রাজাভিয়াহ মাদ্রাসার ছাত্রদের মাঝে বক্তৃতাকালে বলেছেন: ওস্তাদ মুতাহারী ছিলেন একজন সুশৃংখল, কর্মঠ, নিষ্ঠাবান ব্যক্তিত্ব। ছাত্রদের উচিত এ মহান ব্যক্তিত্বকে নিজেদের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করা। তিনি সমাজে শহীদ মুতাহারীর চিন্তাধারার প্রভাবের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন: শহীদ মুতাহারী ধর্মীয় শিক্ষাচর্চা ছাড়াও ঘটমান সকল বিষয়ে খবর রাখতেন; আর তিনি নিজের কথাগুলোকে মানুষের বোধগম্য ভাষায় উপস্থাপন করতেন। ধর্মীয় শিক্ষা কেন্দ্রের এ মহান শিক্ষক শহীদ মুতাহারীর মর্যাদাকে সুমহান উল্লেখ করে বলেন: শহীদ মুতাহারী ইসলামের জ্ঞানে গভীর জ্ঞানী ছিলেন এবং এ কারণেই তার চিন্তাধারা ইসলামের মৌলিক মূল্যবোধ সম্পন্ন ছিল। আর এ বিষয়টি যারাই ইসলাম সম্পর্কে পরিচিত হতে চায় তাদের সকলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন: যদিও শহীদ মুতাহারী প্রণীত লেখাসমূহ খুবই সাধারণ ভাষায় বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু এগুলোর মাঝে সুগভীর জ্ঞান লুকায়িত আছে। তৎকালীন যুগের ভ্রান্ত চিন্তাধারা সম্পর্কে অবগতি শহীদ মুতাহারীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বলে তিনি উল্লেখ করে বলেন: এ মহান শহীদের ভ্রান্ত সকল চিন্তাধারার উপর পূর্ণ দখল ছিল, আর এ কারণেই সকল ভ্রান্ত চিন্তার বিরুদ্ধে বলার মত কথা তার নিকট ছিল। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, এ মহান আলেম জ্ঞানগত প্রশংসনীয় নীতি মালার অধিকারী ছিলেন। আর তাই ভ্রান্ত চিন্তার অধিকারীদের সাথে কথা বলার সময় যথাযথ যুক্তি প্রমাণের মাধ্যমে নিজের চিন্তাধারা উপস্থাপন করতেন। হুজ্জাতুল ইসলাম হাদাভী শহীদ মুতাহারীর চিন্তাধারা সম্পর্কে অধিক গবেষণার প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন: যেহেতু ওস্তাদ মুতাহারীর চিন্তাধারা জীবিত তাই তিনিও জীবিত আছেন। অতএব, ধর্মীয় ছাত্রদের উচিত এ মহান শহীদের চিন্তাধারা সম্পর্কে পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্ঞান লাভ করা যাতে তাদের জন্য ইসলামের খেদমত করার সুযোগ সৃষ্টি হয়।#