‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : parstoday
শুক্রবার

৫ নভেম্বর ২০২১

৪:০৮:৪৩ PM
1195631

কাবুলে মার্কিন ড্রোনের গণহত্যার ব্যাপারে সাফাই: ক্ষুব্ধ আফগান জনগণ

গত আগস্ট মাসে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কাছে ভয়াবহ মার্কিন ড্রোন হামলার ব্যাপারে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের তদন্তের ফলাফল আফগান জনগণকে সন্তুষ্ট তো করেইনি বরং তাদের ক্ষোভের আগুন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের ওপর হামলার নামে পরিচালিত আগস্ট মাসের ওই বর্বরোচিত হামলায় একই পরিবারের প্রায় সাত শিশুসহ দশ জন আফগান নাগরিক প্রাণ হারায়।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : মার্কিন বিমান বাহিনীর তদন্ত বিভাগের প্রধান সামি সায়িদ বলেছেন, তদন্তে দেখা গেছে, ওই ঘটনায় আইনের লঙ্ঘন করা হয়নি বা কোনো অবহেলা কিংবা উদাসীনতাও দেখানো হয়নি।- এভাবেই গত দুই দশক ধরে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বর্বরতা ও গণহত্যাগুলোকে পুরোপুরি সমর্থন দিয়ে এসেছে মার্কিন সরকার ও দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগ। এ ধরনের যে কোনো হত্যাযজ্ঞকে শান্ত করার জন্য মার্কিন সরকার প্রথমে বলে যে তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে এবং এরপর তারা ঘটনায় জড়িত মার্কিন সেনাদের কোনো দোষই আর দেখতে পায় না বলে ঘোষণা দেয়। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব তদন্ত করার কাজে খুব বেশি সময় নেয়া হয় যাতে জনগণের মাঝে বিষয়টির উত্তাপ কমে আসে বা ভুলে যায় তারা।

আসলে এভাবেই মার্কিন সেনারা আফগানিস্তানে কয়েক লাখ নিরপরাধ বেসামরিক আফগান নারী, পুরুষ ও শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। সন্ত্রাসী ও দখলদার মার্কিন সেনারা রাসায়নিক অস্ত্রের মত নানা ধরনের নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করেছে এবং লাশের অঙ্গহানি ঘটিয়ে অবমাননাকর ছবি তুলেও মারাত্মক যুদ্ধ অপরাধে ও মানবতা-বিরোধী অপরাধে জড়িত হয়েছে। আর ন্যাটো জোটের ও মার্কিন সেনাদের এ জাতীয় অপরাধের বিষয়ে কখনও কোনো আন্তর্জাতিক তদন্ত হয়নি মারাত্মক প্রতিশোধ বা নিষেধাজ্ঞার ভয়ে।  

আফগানিস্তানে দুই দশক ধরে মার্কিন সেনা উপস্থিতি দেশটিতে হত্যাযজ্ঞ, দুর্নীতি ও নৈরাজ্য ছাড়া অন্য কিছু এনে দেয়নি। মার্কিন অপরাধযজ্ঞগুলোর ব্যাপারে মার্কিন সরকার ও দুর্নীতিগ্রস্ত সাবেক আফগান সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও তারা সন্তোষজনক কোনো কিছু করতে পারেনি। ফলে মার্কিন ও হানাদার সেনাদের দম্ভ এবং স্পর্ধা দিনকে দিন বেড়েছে। আসলে মার্কিন সরকারের কাছে আফগান জনগণসহ মুসলিম দেশগুলোর জনগণের জীবন ও সম্পদের কোনো মূল্যই নেই। মানুষকে তারা পশুর চেয়েও কম গুরুত্ব দিয়ে থাকে।  #

342/