‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
শনিবার

৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

১০:৫৬:০৪ AM
1343474

পাঠ্যপুস্তকের ভুল সংশোধনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছেন আলেম সমাজ

বাংলাদেশের পাঠপুস্তকে ভুল ও নতুন শিক্ষাক্রমের বিষয়ে বছরের শুরু থেকে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে ইসলামী চিন্তাবিদরাও তাদের অভিযোগ তুলে ধরেছেন বারবার।

পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িক উস্কানির প্রতিবাদে এবং নতুন পাঠ্যক্রম সংশোধনের দাবীতে আজ শুক্রবার বাদজুমা ঢাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটির সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম অভিযোগ করে বলেছেন, পাঠ্যবই নিয়ে রাম বামের লোকজন দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে আজ ভুলুণ্ঠিত করতে বসেছে। বক্তৃতার একপর্যায়ে তিনি বিভিন্ন শ্রেনীর বই দেখিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, সরকার কিংবা সরকারের কিছু লোকজন এসব তথ্যকে পাশাকাটিয়েজনগনকে মিথ্যা তথ্য দেয়ার চেষ্টা করছে।

ফয়জুল করীম বলেন, শিক্ষা সিলেবাসের অসঙ্গতি, ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে আমরা ধারাবাহিকভাবে দীর্ঘদিন যাবত আন্দোলন করে আসছি। আমাদের এ ধারাবাহিক কার্যক্রমকে শিক্ষামন্ত্রী ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে মিথ্যাশ্রয়ী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন।এখন শিক্ষামন্ত্রী নিজেই মিথ্যুক প্রমাণিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, ২০২৩ এর মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে জনগণের বোধ-বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও জাতীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে সাম্প্রদায়িক উসকানি, তথ্য ও ইতিহাস বিকৃতি, বিতর্কিত ও অবৈজ্ঞানিক মানব সৃষ্টিতত্ত্ব অনুপ্রবেশ, ট্রান্সজেন্ডার, পৌত্তলিক ও ব্রাহ্মণ্যবাদী সংস্কৃতির আধিপত্য, ইসলামকে ভিনদেশি সাব্যস্ত করা এবং প্লেজারিজমের মত নিন্দনীয় কাজের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে; যা জাতি হিসাবে আমাদের জন্য উদ্বেগ ও হতাশার।

এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে নিজেই এসব বই পড়ে দেশের স্বার্থে ও ইসলামের স্বার্থে দ্রুত সংকট সমাধানের উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।

তবে ঢাকায় অপর এক অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন পাঠ্যপুস্তকে ১১ বছর আগে কিছু ভুল ছিল, সেগুলো আবার তোলা হচ্ছে। এবং একটি মহল পাঠ্যপুস্তক নিয়ে একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আজ শুক্রবার বইমেলার গ্রন্থ উন্মোচন মঞ্চে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, পাঠ্যপুস্তকে যদি কোনো ভুল থাকে, সেটা ঠিক করার জন্য দুটো বিশেষজ্ঞ কমিটি রয়েছে। সে কমিটি আলেম-ওলামাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে ভুলগুলো সংশোধন করবে।#


342/