আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): আরাগচি বলেন, “আমরা যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ছিলাম, তখন তারা ইসরায়েলের হামলার পেছনে সমর্থন দিয়ে সরাসরি আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালায়।”
তিনি অভিযোগ করেন, “সাম্প্রতিক আলোচনায় তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আমাদের জাতির অধিকার ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল। এরপর একপর্যায়ে তারা যুদ্ধ চাপিয়ে দেয় এবং ইসরায়েলি দখলদার শক্তিকে হামলার জন্য উস্কে দেয়।”
আরাগচি আরও জানান, আলোচনার সময় যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক প্রতিশ্রুতি ভেঙেছে, যা ভবিষ্যতে ইরানের কূটনৈতিক সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করবে। তিনি বলেন, “তবুও, কূটনীতি চালু আছে। আমি এখনও অনেক দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি দাবি করেছেন, আগামী সপ্তাহে ইরানের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে আরাগচি বলেন, “এ ধরনের কোনো বৈঠকের ব্যবস্থা হয়নি। তারা নিজেদের বক্তব্য পরস্পরবিরোধীতায় পরিপূর্ণ।”
গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও বেসামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালালে ১২ দিন ধরে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এতে অন্তত ৬০৬ জন নিহত ও ৫ হাজার ৩৩২ জন আহত হন।
Your Comment