আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : ভারতে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে এ নিয়ে পরপর দু’দিন আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেল। গত ১ মে’তেও ৪ লাখ ১ হাজার ৯৯৩ জন সংক্রমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, গতকাল (বৃহস্পতিবার) একদিনে মৃতের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৯৮০। আজ সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৯১৫।
আজ (শুক্রবার) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে প্রকাশ, দেশে এ পর্যন্ত ২ কোটি ১০ লাখ ৭৭ হাজার ৪১০ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার ৮৪৪ জন। মোট মারা গেছেন ২ লাখ ৩০ হাজার ১৬৮ জন। বর্তমানে ৩৫ লাখ ৬৬ হাজার ৩৯৮ জন সক্রিয় করোনা রোগী হাসপাতাল অথবা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে, করোনা সংক্রমণের সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় নরেন্দ্র মোদি সরকারকে গ্রামীণ ভারতের দিকে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল (বৃহস্পতিবার) অক্সিজেন সরবরাহ সংক্রান্ত এক শুনানিতে কেন্দ্রের সলিসেটর জেনারেল তুষার মেহতার উদ্দেশে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, করোনার ‘তৃতীয় ঢেউ’ আসছে। মোকাবিলা করতে সরকার তৈরি আছে তো? গ্রামে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কিন্তু ততটা মজবুত নয়। কীভাবে সেখানে পৌঁছবে অক্সিজেন? পরিষেবা ঠিক মতো পাওয়া যাবে তো?
বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এমআর শাহর সমন্বিত বেঞ্চের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে এক নির্দেশনায় বলা হয়, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য তৈরি হন। কেবল দিল্লি নয়, গোটা দেশের জন্যই বাড়তি অক্সিজেনের ব্যবস্থা আগেভাগে করে রাখুন। কারণ, অক্সিজেনের অভাবে মানুষের মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। প্রয়োজনে সদ্য ডাক্তার হওয়া তরুণদের এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে বসে থাকা নার্সদের কোভিড মোকাবিলায় যুক্ত করুন। তাদের ইনসেনটিভ দিন।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কার্যত ঝড়ের গতিতে সংক্রমণ বাড়ার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেক বেশি মানুষ। দ্রুত পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে হাসপাতালের বেড। মানুষের প্রাণ বাঁচাতে ব্যাপক চাহিদা বাড়ছে অক্সিজেনের। অনেক জায়গায় অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সেজন্য পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, কেরালা, ছত্তিশগড়, কর্ণাটকের মতো ১০টি রাজ্য ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বাড়তি অক্সিজেন চেয়েছে। কিন্তু কোথা থেকে দেওয়া হবে সেই জোগান, তা ভেবে কার্যত ঘুম উড়ে গেছে কেন্দ্রীয় নরেন্দ্র মোদি সরকারের। #
342/