‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
শনিবার

২১ জানুয়ারী ২০২৩

৬:৩৪:২০ PM
1340040

নারী বিষয়ে পাশ্চাত্যের ভণ্ডামির তীব্র নিন্দা জানালেন রায়িসি

বিশ্বের প্রায় ৯০টি দেশের তিন হাজারেরও বেশি নারী নেতৃবৃন্দ ও কর্মীর উপস্থিতিতে প্রভাবশালী নারী বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক কংগ্রেস বা সম্মেলন হয়ে গেলো তেহরানে।

গতকালের (শুক্রবার) এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন সংসদ সদস্য, শিক্ষাবিদ, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং পরিবেশ ও নাগরিক অধিকার বিষয়ক আন্দোলনের নেত্রীসহ আরও নানা বিষয়ের বিশেষজ্ঞ। এক দিনের এই সম্মেলন শেষে বিশ্বের তিন জন প্রভাবশালী নারীকে পুরস্কার দেয়া হয়। 

এর আগে বৃহস্পতিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি ওই সম্মেলনে যোগ দিতে আসা একদল নারী-নেত্রীর সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।  এ ধরনের সম্মেলন আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পথ সুগম করতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি যুগে যুগে নারী জাতির মহান ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। এ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী নারী নেতৃবৃন্দ নারী অধিকার সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে ইরানের অভিজ্ঞতা হতে লাভবান হবেন বলে রায়িসি আশা প্রকাশ করেন। 

ইরানের প্রেসিডেন্ট নানা ক্ষেত্রে ইরানি নারী সমাজের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন এবং নারী অধিকারের বিষয়ে পশ্চিমা সরকারগুলোর দ্বিমুখী নীতির তীব্র নিন্দা জানান। ইরানের ইসলামী সরকার ব্যবস্থায় নারী সমাজের অগ্রগতির কারণে পশ্চিমা সরকারগুলো এই দেশের প্রতি ক্ষুব্ধ বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, মানবীয় দিক থেকে নারী ও পুরুষের কোনো পার্থক্য নেই। নারী ও পুরুষ উভয়ই নৈতিকতা, আধ্যাত্মিকতা ও মানবিকতার শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। 

রায়িসি ঐতিহাসিক নানা পর্যায়ে নারীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকার কথা তুলে ধরে বলেছেন, নারীদেরকে কোনো সমাজেই কোণঠাসা বা বিচ্ছিন্ন করে রাখা উচিত নয়।

রায়িসি বলেছেন, নারীর ব্যাপারে প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তাধারা এবং তাদের প্রতি পশ্চিমা শক্তিগুলো ও রাজনীতিবিদদের হাতিয়ারসুলভ দৃষ্টিভঙ্গি ব্যর্থ ও প্রত্যাখ্যাত হতে বাধ্য। সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি হল এটা যে নারী ও পুরুষ উভয়ই মানুষ এবং অনেকক্ষেত্রে নারী পুরুষকে প্রভাবিত করে।

ইসলামী ইরানে নারীর অধিকার ও সম্মানকে যে সর্বোচ্চ মাত্রার গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তা দেশটির সংবিধানেই প্রোজ্জ্বল বলে উল্লেখ করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। ইসলামী রাষ্ট্রের নীতিমালা মেনে চলেই নারী সমাজ সাফল্য অর্জন করছে দেখে পাশ্চাত্য ইরানের ওপর ক্রুদ্ধ বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

ইসলামী বিপ্লবের পর মানবীয় মর্যাদা বজায় রেখেই  জ্ঞান-বিজ্ঞান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্ষমতায়নে ইরানের নারী সমাজের অগ্রগতি হয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট রায়িসি উল্লেখ করেন। তিনি বলেছেন, ইরানের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ত্রিশ শতাংশেরও বেশি শিক্ষক নারী এবং প্রায় ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থীই ছাত্রী। 

ইরানের প্রেসিডেন্ট দখলদার ইসরাইলের মোকাবেলায় বৈধ অধিকার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ফিলিস্তিনি নারীদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জাতির প্রতি জুলুম মানে গোটা মানবজাতির ওপর জুলুম।  #