সাম্প্রতিক সময়ে আটক করা ওই দুই তেল ট্যাংকার আইন অমান্য করে ইরানের পানিসীমা লঙ্ঘন করেছিল। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্যাংকার দুটির মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, হরমুজ প্রণালি এবং অন্যান্য কৌশলগত নৌপথে সাম্প্রতিক সময়ে তার ভাষায় ইরানের ‘আপত্তিকর’ কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় পারস্য উপসাগরে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। তিনি দাবি করেন, তেহরানের এ ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ কর্মকাণ্ডে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।
হোয়াইট হাউজে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জন কিরবি বলেন, হরমুজ প্রণালিসহ মধ্যপ্রাচ্যের পানিসীমায় কোনো ‘বিদেশি শক্তিকে’ নৌযান চলাচলকে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে দেবে না ওয়াশিংটন।তবে ইরানের নিজস্ব পানিসীমা- হরমুজ প্রণালীতে ইরানই কীভাবে ‘বিদেশি শক্তি’ হলো এবং হাজার হাজার কিলোমিটার দূর থেকে এসে আমেরিকা কীভাবে এখানকার ‘ত্রাণকর্তা’ হয়ে উঠল সেকথা ব্যাখ্যা করেননি কিরবি।
ইরান বহুবার একথা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, পারস্য উপসাগরে যাতায়াতকারী মার্কিন সামরিক নৌযানগুলো ইরানের জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকিগ্রস্ত করে এবং এ অঞ্চলে উত্তেজনা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির প্রধান উৎস এসব নৌযান। পারস্য উপসাগরের নিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টি করলে ওয়াশিংটনকে কঠোর জবাব দেয়া হবে বলেও তেহরান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।#
342/