তিনি বলেন, গাজা গণহত্যার ব্যাপারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যে নিষ্ক্রিয়তা দেখাচ্ছে তা চলতি শতাব্দির সবচেয়ে ‘ভয়াবহ কূটনৈতিক বিপর্যয়।’
তিনি বলেন, গাজাবাসী ফিলিস্তিনি জনগণ যে অসহনীয় মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা করছে একদিন তার অবসান হবে ঠিকই কিন্তু এই গণহত্যার ব্যাপারে কোন দেশ কী ভূমিকা পালন করছে তাও ইতিহাসে লেখা থাকবে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহতদের শতকরা ৭০ ভাগ নারী ও শিশু। বিশ্বের ইতিহাসে আর কোনো যুদ্ধে এত বেশি হারে নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়নি।
গাজা থেকে হামাসকে নির্মূল করা যাবে না
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যের অন্য অংশে বলেন, গাজা উপত্যকা থেকে হামাসকে ‘পুরোপুরি নির্মূল’ করার যে লক্ষ্য ইহুদিবাদী ইসরাইল ঠিক করেছে তা কোনোদিন অর্জিত হবে না। আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, “সেদিন কখনও আসবে না।” তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যে আন্দোলন করছে হামাস তার অবিচ্ছেদ্য অংশ।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইহুদিবাদীরা মূলত গোটা ফিলিস্তিনি জাতিকেই নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে চায়। কিন্তু বিশ্ব মানবতার ইতিহাসে কোনো জাতি তার ভূমি থেকে চিরতরে হারিয়ে যায়নি। কাজেই ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রেও তেমন কিছু ঘটবে না। বক্তব্যের শেষাংশে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাজা উপত্যকাসহ ফিলিস্তিনের ভবিষ্যতে সেখানকার জনগণই নির্ধারণ করবে; বাইরে থেকে কোনো সিদ্ধান্ত তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া যাবে না।#