৭অক্টোবর ২০০৩ সাল থেকে ইসরাইল সরাসরি মার্কিন মদদে গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক আগ্রাসন শুরু করে। ওই হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ এবং আহত হয়। হতাহতদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু। পার্সটুডে'র প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন ওয়াশিংটনে ন্যাটো মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লিঙ্কেন বলেছেন: হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে সংঘর্ষ সম্প্রসারণের সম্ভাব্য হুমকি সৃষ্টি হতে পারে।
ব্লিঙ্কেন আরও বলেন: আমি মনে করি না যে সম্ভাব্য হস্তক্ষেপকারীদের কেউ যুদ্ধ বা সংঘাতের বিস্তার ঘটাতে চায়। আমি মনে করি না ইসরাইল কিংবা হিজবুল্লাহও সেরকম সুযোগ খুঁজছে। লেবানন অবশ্যই যুদ্ধের বিস্তার চায় না। ইরানও তা চায় বলে আমি মনে করি না।
ইসরাইলকে মার্কিন সামরিক সহায়তা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে ব্লিঙ্কেন আরও বলেছেন: ইসরাইলকে ২ হাজার পাউন্ড ওজনের বোমা পাঠানোর কথা ভাবছে আমেরিকা।
ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৩৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে এবং ৮৫ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। যুদ্ধে শহীদদের ৭০ শতাংশেরও বেশি নারী ও শিশু। ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছে।
এরই প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে:
৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলি হামলায় স্তুপীকৃত ধ্বংসাবশেষের পরিমাণ ৩৯ মিলিয়ন টন। তার মানে গাজার প্রতি বর্গমিটারে ১০৭ কিলোগ্রাম ধ্বংসাবশেষ স্তুপীকৃত হয়েছে।
জাতিসংঘের এই সংস্থাটি মানুষের জীবন রক্ষা করতে এবং পরিবেশের ওপর তার প্রভাব কমাতে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।#
কী ওয়ার্ডস: গাজা ও ইসরায়েল যুদ্ধ, ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সমর্থন, গাজা যুদ্ধের শহীদের সংখ্যা, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা, অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন।
342/